এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > “দিদি ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা গরিবদের লুঠেছে। পুলিসকে পার্টির কাজে লাগিয়েছেন দিদি।” – বিস্ফোরক অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর

“দিদি ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা গরিবদের লুঠেছে। পুলিসকে পার্টির কাজে লাগিয়েছেন দিদি।” – বিস্ফোরক অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিম বর্ধমানের তালির জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিক বিষয়ে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী জানান, বহু মায়ের কোল খালি করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। নির্বাচনের মাঝে সোমা মজুমদারকে হারিয়েছেন তাঁরা। কি নিষ্ঠুরভাবে মারধর করেছে তাঁকে তৃণমূলের গুন্ডারা। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করলেন, কোন মায়ের সম্মানের কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী? পুনিয়া জেলায় এক মা ও ছেলের চিতা একসঙ্গে জ্বালানো হয়েছে। দুদিন আগে রাজ্যে কর্তব্য করতে এসে প্রাণ হারিয়েছেন এই জওয়ান। তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিজের সন্তানের মৃতদেহ দেখার পর মায়েরও মৃত্যু হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা গরিবদের লুণ্ঠন করেছেন। পুলিশকে পার্টির কাজে ব্যবহার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী এতটা কঠোর, এতটা নির্মম? তাঁর দুর্নীতির শিকার হলেন জেলার কৃষকেরা। বাবা সাহেব আম্বেদকর, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ইচ্ছায় দামোদর ভ্যালি করা হয়েছিল। মানুষ শিল্পের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সাধারণ মানুষ আজ বঞ্চিত। কৃষকদের অবস্থা ভালো নয়। ফসলের দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা।

চাষ, হিমঘর থেকে অর্থ লুটছে সিন্ডিকেট বাজরা। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিলেন যে, এই পরিস্থিতির বদল হবে। গরিব কৃষকরা যাতে হিমঘরের সুবিধা পান, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এখানে ফসল বীমা যোজনার লাভ কৃষকদের দেয়া হবে। কৃষকদের জন্য সৌর পাম্প, কিষান ক্রেডিট কার্ড যোজনা প্রকল্প চালু হবে। তিনি জানালেন, কিষান সম্মান নিধি প্রকল্প আটকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষকদের সঙ্গে কেন এতটা শত্রুতা? কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি টাকা পাঠাতে চাইলে মুখ্যমন্ত্রীর কি সমস্যা? কেন এমন করছেন মুখ্যমন্ত্রী?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রধানমন্ত্রী জানান, গত ১০ বছরে বাংলার মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা নিয়ে কোনো চর্চা হয়নি। বাংলার কুশাসন নিয়ে বেশি আলোচনা হয়নি। সরকারের কাজ মানুষের ভালো করা। কিন্তু বাংলায় দিদি ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা গরিবদের লুণ্ঠন করেছে। পুলিশকে পার্টির কাজে ব্যবহার করা হয়েছে, সিন্ডিকেট, তোলাবাজির কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলার মানুষকে লুঠ করে বড় বড় ঘরবাড়ি তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা। প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলার মানুষকে লুঠতে দেওয়া হবে না। বিজেপি সরকার এলে পরিবর্তন হবে। সরকারি প্রকল্পের সমস্ত টাকা গরিব মানুষের কাছে পৌঁছাবে। প্রশাসন ও পুলিশ নিজেদের কাজ করে যাবে।

ডবল ইঞ্জিনের শক্তির সঙ্গে ডবল পরিশ্রম করবে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকার জানালেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা বলতে শুরু করেছেন, বিজেপিকে যারা ভোট দিয়েছেন, তাদের বাইরে ফেলে দেওয়া হবে। জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন করেছেন, তারা কি এই ধরনের ভাষা, অহংকার মেনে নেবেন? প্রধানমন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে, এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানি দিচ্ছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি জানালেন, রাগ দেখাতে হলে তিনি তাঁর উপরেই দেখান। তাঁকে গালি দিন, কিন্তু বাংলার গরিমা ও গৌরবকে অপমান না করুন। তাঁর অহংকার বরদাস্ত করবেন না মানুষ। তোলাবাজি, সিন্ডিকেট, কাটমানি ব্যবস্থাকে বাংলা বরদাস্ত করবে না বাংলা। তাই আজ বাংলা সোনার বাংলা সংকল্পের সঙ্গে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদেশ্যে তিনি জানান, “দিদির কুশাসন চায় না বাংলা। আসল পরিবর্তন চায় বাংলা। বাংলা চায় না, তৃণমূলের দুঃশাসন। বাংলা চায় না, দিদি-ভাইপোর হিংসার খেলা। বাংলা চায় আসল পরিবর্তন। বাংলা চায় উন্নয়ন, শিক্ষা, শিল্প, কর্মসংস্থান, নারীসুরক্ষা, কৃষক সম্মান, ভয়মুক্ত পরিবেশ। বাংলা চায় বিজেপি সরকার।”

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!