এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “দিদি” শব্দ বলে অপমান! তৃণমূলের অভিযোগের জবাব দিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়!

“দিদি” শব্দ বলে অপমান! তৃণমূলের অভিযোগের জবাব দিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের জন্য রাজ্যে প্রসারে এসে একাধিক সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “দিদি” বলে সম্মোধন করে একাধিক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে রসালো কথা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “দিদি” সম্বোধন করেছেন দেশের প্রশাসনিক প্রধান। আর যেভাবে তৃণমূল নেত্রীকে “দিদি” বলে ডাকা হয়েছে, সেটাকে রীতিমতো “টিটকিরি” বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দিদি” সুর নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন শশী পাঁজা থেকে শুরু করে জুন মালিয়া এবং অনন্যা চক্রবর্তীরা। আর এই পরিস্থিতিতে এবার গোটা বিষয় নিয়ে মুখ খুলে পাল্টা তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। যেখানে প্রধানমন্ত্রীকে অপমানের কথা তুলে ধরে পাল্টা তৃণমূলের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন তিনি।

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের অভিযোগের জবাব দেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, “দিদি দুর্যোধন বলেন। দিদি রাবন বলেন। দিদি যে শব্দ প্রয়োগ করেন, প্রধানমন্ত্রীও সেই ভাষায় কথা বললে ভালো হত কি? আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।”  তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শব্দ প্রয়োগ করা নিয়ে যেভাবে আপত্তি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হল, তার পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় মনে করিয়ে দিলেন অতীতের কথা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা হোক বা বিধানসভা নির্বাচন, বারবার প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করেছেন। কখনও বা রাক্ষস, আবার কখনও বা হুদুল কুতকুত বলে আক্রমণ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। সেদিক থেকে প্রধানমন্ত্রী “দিদি” শব্দ প্রয়োগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেও কেন তাকে অপমান হিসেবে দেখা হচ্ছে, তা নিয়ে পাল্টা তৃণমূলের নেত্রীদের প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নির্বাচনের মরসুমে এখন ভাষা সন্ত্রাস সবথেকে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। নির্বাচনী আক্রমণ করতে গিয়ে একে অপরকে উদ্দেশ্য করে মাঝেমধ্যেই শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করতে দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শিষ্টাচার মেনে “দিদি” শব্দ প্রয়োগ করার পরেও তাকে “টোন” হিসেবে দেখতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

যা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেডকে। আর সেই ব্যাপারে পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিয়ে অতীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা একাধিক মন্তব্যকে সামনের সারিতে এনে “তৃণমূলের শুভবুদ্ধির উদয় হোক” বলে পাল্টা যুক্তি দিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। যা ঘাসফুল শিবিরকে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ফেলে দিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!