এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “দিদিকে বলো” কর্মসূচি বানচাল করতে পাল্টা কৌশল নিচ্ছে বিজেপির, দাবি তৃণমূলের

“দিদিকে বলো” কর্মসূচি বানচাল করতে পাল্টা কৌশল নিচ্ছে বিজেপির, দাবি তৃণমূলের


লোকসভা নির্বাচনে দলের খারাপ ফলাফল হওয়ার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুধাবন করেছিলেন যে, দলকে ঘুরে দাঁড় করাতে হলে জনসংযোগে পাঠাতে হবে দলীয় জনপ্রতিনিধিদের। আর তারপরই সম্প্রতি ভোটগুরু হিসেবে পরিচিত প্রশান্ত কিশোরকে দলের রণনীতিকার হিসেবে নিয়োগ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যার জেরে কিছুদিন আগেই সেই প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শেই নাকি তৃণমূল নেত্রী “দিদিকে বলো” নামে একটি কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন বলে দাবি একাংশের।

যেখানে একটি ফোন নম্বর এবং একটি ওয়েবসাইট দেওয়া হয়েছে। যাতে সাধারণ মানুষ তাদের সমস্ত অভাব, অভিযোগ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে। শাসক দলের দাবি, “দিদিকে বলো” এই কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। প্রচুর মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে তাদের অভাব-অভিযোগ জানাচ্ছেন। তবে এই কর্মসূচিকে বানচাল করতে বিরোধীদল বিজেপি ক্রমশ চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও দাবি করেছে তৃণমূল।

আর শাসকদলের এই দাবির মাঝেই এবার তৃণমূল নেত্রীর চালু করা “দিদিকে বলো” প্রকল্পের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘুম উড়িয়ে দিতে তৎপর হল গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, এবার রাজ্যে তৃণমূলের দ্বারা বিজেপির আক্রান্ত নেতাকর্মীদের বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু পরামর্শ দিলেন যে, দিদিকে ফোন করে যেন তারা বোমা এবং গুলির কথা জানান। আর এই ঘটনাতেই এবার শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, গত 21 শে জুলাই অশোকনগর শ্রীকৃষ্ণপুর পঞ্চায়েতের গিলাপোল এলাকায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা এবং গুলি ছোড়া হয়। যে ঘটনায় ছয়জন বিজেপির কর্মী সমর্থক গুরুতর আহত হন। আর এই ঘটনায় অভিযোগের তীর ওঠে তৃণমূলের দিকে।

সম্প্রতি সেই গিলাপোলে গিয়ে আহত কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু এবং বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষকে। আর সেইখানে এসেই সায়ন্তন বসু বলেন, “পুলিশ এবং তৃণমূলের মাফিয়ারা একসঙ্গে সন্ত্রাস চালাচ্ছেন। আমাদের দলের কর্মী-সমর্থকরা এবার “দিদিকে বলো” প্রকল্পে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাস এবং বোমা-গুলিতে হামলার কথা জানাবেন।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসংযোগের জন্য এই “দিদিকে বলো” প্রকল্প করলেও বিজেপি রাজ্যের সন্ত্রাস এবং তাদের দলের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা সেই দিদির কাছে তুলে ধরে এই গোটা কর্মসূচিকে বানচাল করতে তৎপর হয়েছে। আর যদি বিজেপির এই উদ্যোগ সত্যি হয়, তাহলে জনসংযোগ অপেক্ষা দিদিকে বলো প্রকল্প নিয়ে যে বড়সড় অস্বস্তিতে পড়বে রাজ্যের শাসক দল, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!