এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিদিকে বলোর গুঁতোয় এবার আদিবাসীর হেঁসেলে ঢুকে রান্নার সহায়তা হেভিওয়েট মন্ত্রীর!

দিদিকে বলোর গুঁতোয় এবার আদিবাসীর হেঁসেলে ঢুকে রান্নার সহায়তা হেভিওয়েট মন্ত্রীর!

লোকসভা নির্বাচনে দলের খারাপ ফলাফলের পর দিদিকে বলো প্রকল্প করে দলের নেতা থেকে জনপ্রতিনিধিদের জনসংযোগ করাতে বাধ্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে সেই দিদিকে বলো প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে এখন সাধারণ মানুষের সাথে নিবিড় জণসংযোগে ব্যস্ত হতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের।

নেত্রীর দরাজ সার্টিফিকেট পেতে সাধারণ মানুষের খুব কাছাকাছি চলে যাচ্ছেন নেতা-মন্ত্রীরা। ঠিক যেমনটা দেখা গেল মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে। দিদিকে বলো প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে এবার আদিবাসী পাড়ায় ঢুকে হেঁসেলে গিয়ে আদিবাসী মহিলাকে রান্নায় সহযোগিতা করলেন মন্ত্রী। জানা যায়, পূর্বস্থলী 1 ব্লকের হেমাতপুরের দলীয় কার্যালয়ে বেশিরভাগ সময়ই স্বপন দেবনাথ তার রাত্রিবাস করেন। যেখানে তার দেহরক্ষীরাও তার সাথে থাকেন।

কিন্তু এদিন সাতসকালে দেহরক্ষীদের না জানিয়েই হেমাতপুর থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে চাপাহাটি আদিবাসী পাড়ায় চলে আসেন স্বপন দেবনাথ। আর ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ যখন সেই আদিবাসী পাড়ার মানুষেরা তাদের সকালের কাজ ছাড়ছিলেন এবং রমণীরা রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক সেইসময়ে সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরিহিত মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে দেখে রীতিমতো চমকে যান সকলে।

এদিকে মন্ত্রী উপস্থিত হয়ে জনসংযোগ বাড়াতে সেখানকার পুরুষদের সঙ্গে কথা বলে তাদের নানা অভাব-অভিযোগ শোনেন। আর এরপরই কাঠের চৌকিতে বসে বেশ কিছুক্ষণ সকলের সাথে কথা বলেন তিনি। এদিকে সেই সময় সেই পরিবারের গৃহবধূ রান্না করলে তাকে সেই রান্নায় সহযোগিতা করতেও দেখা যায় মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে। উনুন থেকে ভাতের হাড়ি নামানো, সোয়াবিনের তরকারি রান্নার জন্য আলুর খোসা ছাড়িয়ে দিতে দিতে মহিলাদের ঠিক কি অভাব অভিযোগ রয়েছে, তা শুনে নেন মন্ত্রী।

আর সাধারন মানুষের মতো একেবারে হেশেলে ঢুকে যেভাবে মন্ত্রী তাদের আপনজন হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিলেন, তা দেখে রীতিমতো আপ্লুত সেই গ্রামের বাসিন্দারা। এদিন সেইখানে সমস্ত সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শোনার পাশাপাশি দিদিকে বলোর কার্ডও বিলি করেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন মন্ত্রী হেঁসেলে ঢুকে তাদের রান্নায় সহযোগিতা করার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে এখানকার বাসিন্দারা মনি ওরাও, সন্ধ্যা ওরাও বলেন, “আমাদের রান্নায় ঝাল, নুন, হলুদগুড়োর পরিমাণগুলো ভালোই জানেন দেখলাম। সোয়াবিনের তরকারি রান্নার সময় স্বপনবাবু সব হাতে হাতে এগিয়ে দিলেন। উনি আমাদের সমস্ত অভাব-অভিযোগ শুনেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া একটি কার্ডও দিয়ে গিয়েছেন।”

অন্যদিকে এইভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়া প্রসঙ্গে পূর্বস্থলী দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “আদিবাসীরা সাতসকালে রান্না করে কাজে বেরিয়ে যান। তাই তাদের পরে আর দেখা পাওয়া যায় না। সেই মত খুব সকালেই জনসংযোগে এসেছি। তখন অনেকে রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাই তাদের সহযোগিতা করলাম। তার ফাঁকে ওদের কি ব্যাপারে অভাব অভিযোগ রয়েছে, তাও শুনেছি। কোনো সমস্যা থাকলে তা দিদিকে বলো কার্ডের মাধ্যমে যে নম্বর দেওয়া আছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানোর জন্য তাদের কাছে আবেদন করেছি। ওদের সাথে একসাথে বসে খেতে পারলাম না। কারণ আমাকে কালনায় চলে যেতে হল। তাই কথা দিয়েছি, অন্য কোনোদিন একসঙ্গে বসে খাওয়া দাওয়া করব।” সব মিলিয়ে বিধায়ক তথা মন্ত্রীকে এত কাছে পেয়ে রীতিমতো খুশি আদিবাসী গ্রামের পরিবারগুলি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!