এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিদিকে বলো-তে গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের তাড়া খেয়ে পালিয়ে বাঁচলেন বিধায়ক, পুলিশ এসে করল উদ্ধার

দিদিকে বলো-তে গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের তাড়া খেয়ে পালিয়ে বাঁচলেন বিধায়ক, পুলিশ এসে করল উদ্ধার

নির্বাচনে কিছুটা বিপর্যস্ত হওয়ার পর দলকে জনসংযোগে পাঠিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। “দিদিকে বলো” প্রকল্প গড়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দলের নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রী, সাংসদদের অভাব অভিযোগ শোনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা এই কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু এবার এই জনসংযোগ কর্মসূচিতে গিয়েই রীতিমতো বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল ঘাটালে তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলইকে। জানা যায়, দলের বেধে দেওয়া জনসংযোগ কর্মসূচি উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে ঘাটাল ব্লকের সুলতানপুরে যান ঘাটালে তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলই।যেখানে তার সাথে ছিলেন ঘাটাল তৃণমূল ব্লক সভাপতি দিলীপ মাঝি, ব্লক যুব নেতা তথা সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিত বারিক সহ বেশ কয়েকজন নেতা।

জানা যায়, সেই রাতে জনসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্থানীয় বিধায়কের সুনীত ঘোষ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে থাকার কথা ছিল। কিন্তু তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের এই জনসংযোগ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে তাদের এক কর্মীকে মারধর করে। আর আর আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী জিতেন দোলইকে ব্যাপক মারধর করা হলে সেই জনসংযোগ কর্মসূচি করতে আসা তৃণমূলের নেতা, বিধায়করা স্থানীয় তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। আর এই ঘটনায় এবার ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা জনসংযোগ কর্মসূচি করতে আসলে কেন সেখানে তাদের ওপর হামলা চালানো হল, তা নিয়ে তৃণমূলের তরফে প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই শাসক দলের কর্মীরা বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলই বলেন, “বিজেপি কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ওরা যে এলাকায় শান্তি চায় না, তাই এই ঘটনা ফের প্রমাণ করল।”

তবে বিজেপির তরফে অবশ্য হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে ঘাটাল লোকসভা বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক রামকুমার দে বলেন, “যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছিল, সেই এলাকায় শঙ্করবাবুরা একসময় অত্যাচার করেছেন। তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে সাধারণ মানুষ বিধায়ককে সামনে পেয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এর সঙ্গে বিজেপির কোনো যোগ নেই।”

কিন্তু জণসংযোগ কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় এখন একদিকে যেমন তৃণমূল নেতাদের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ঠিক তেমনই শাসক দল হওয়া সত্বেও কেন তৃণমূলকে এইভাবে আক্রমণের মুখে পড়তে হল! তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তাহলে কি গোড়াতেই গলদ রয়েছে! জল্পনা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!