এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “দিদিকে বলো” কর্মসূচিতে ফাঁকিবাজি রুখতে কড়া পদক্ষেপ তৃণমূলের, অস্বস্তিতে নেতা-কর্মীরা

“দিদিকে বলো” কর্মসূচিতে ফাঁকিবাজি রুখতে কড়া পদক্ষেপ তৃণমূলের, অস্বস্তিতে নেতা-কর্মীরা

 

2011 সালে ক্ষমতায় আসার পর যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, প্রায় সব কটিতেই ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার ফলে রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে অনেকটাই দূরে চলে গিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু সাংগঠনিক এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি না নিলে দলকে যে ভেঙে পড়তে হবে, তা আঁচ করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সদ্যসমাপ্ত 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে তা পরোতে পরোতে উপলব্ধি করেছে তারা। মোটে 22 টি আসুন পেয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি না নিলে যে সংগঠন ভেঙ্গে পড়বে, তা উপলব্ধি করেছে ঘাসফুল শিবির।

ইতিমধ্যেই তৃণমূলের রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোরের বুদ্ধিমত্তায় “দিদিকে বলো” কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে শুরু করেছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তবে দীর্ঘদিন ধরে সংগঠন না করা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মীদের কাছে। আর তাইতো “দিদিকে বলো” রূপায়নের দায়িত্বে থাকা অনেকেই তাদের কাজে ফাঁকি দিতে শুরু করছেন বলে অভিযোগ।

কিন্তু এবার সেই কাজে ফাঁকি দেওয়া নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিল তৃণমূল নেতৃত্ব। যার ফলে ঘুম উড়ছে সেই ফাঁকিবাজি নেতাদের। বস্তুত, সম্প্রতি কলকাতায় দিদিকে বলো কর্মসূচি নিয়ে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই প্রশান্ত কিশোরের তরফে অভিযোগ করা হয় যে, অনেক নেতা “দিদিকে বলো” কর্মসূচি করতে গিয়ে শুধুমাত্র ছবি তুলে তা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। নিয়ম অনুযায়ী, দলীয় কর্মীদের বাড়িতে থাকার কথা হলেও সেই ছবি তুলে তারা সেখান থেকে চলে আসছেন।

তবে এক্ষেত্রে ফাঁকিবাজি বন্ধ করতে সেই সমস্ত নেতাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিল উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, “দিদিকে বলো” কর্মসূচিতে উত্তর 24 পরগনা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের অনেকেই পিছিয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, দশটার মধ্যে নয়টি কর্মসূচি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করেছেন হাবরা বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর তারপরের স্থানেই রয়েছেন শীলভদ্র দত্ত। কিন্তু জ্যোতিপ্রিয়বাবু একদিকে দলের সভাপতি, অন্যদিকে মন্ত্রী হয়ে তড়িঘড়ি এই কর্মসূচি পালন করলেও, বাকি নেতৃত্বরা কেন তা পালন করতে পারছেন না, তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। ফলে এক্ষেত্রে দিদিকে বল কর্মসূচিতে গতি আনতে এবং নেতাকর্মীদের ফাঁকিবাজি রুখতে কড়া পদক্ষেপ দিতে দেখা গেল তৃণমূল নেতৃত্বকে। শুধুমাত্র পদ আঁকড়ে বসে থাকলেই যে হবে না, সাধারণ মানুষের কাজ যে আরও মনোযোগী হয়ে করতে হবে, তা বুঝিয়ে দিতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর 24 পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ন গোস্বামী বলেন, “দিদিকে বলো কর্মসূচিতে কোনো গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। সবাইকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিধানসভা ভিত্তিক বৈঠক করে সাংগঠনিকভাবে দলকে মজবুত করার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী 21 ডিসেম্বর দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বিধানসভা কেন্দ্র এলাকাগুলোতে দফায় দফায় বৈঠক করা হবে। পরের দিন বনগাঁতেও একইভাবে বৈঠক হবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে সাংগঠনিক কাজকর্ম না করায় হঠাৎ করে ব্যাপক চাপ পড়ায়, তৃণমূলের অনেক নেতা অলসতা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। আর তাইতো দিদিকে বলোর মতো কর্মসূচিতে তৃণমূলের অনেক নেতার ফাঁকিবাজি চোখে পড়ছে। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের নেতৃত্বের সেই ফাঁকিবাজি রুখতেই তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেসকে।

যার ফলে নেতারা গা ঝেড়ে সংগঠনের কাজে বেশি করে মনোযোগ দেবেন বলে আশা তৃণমূলের একাংশের। তবে শেষ পর্যন্ত বাধা কাটিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কতটা সাংগঠনিক কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন! এখন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!