এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দিদিকে বল এবং দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়ে ভূয়শী প্রশংসা অর্মত্য সেনের ট্রাস্টের সমীক্ষায়

দিদিকে বল এবং দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়ে ভূয়শী প্রশংসা অর্মত্য সেনের ট্রাস্টের সমীক্ষায়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিদিকে বল কর্মসূচি শুরু করেন। কার্যত এই কর্মসূচি শুরু করার পেছনে ভোট কৌঁশলী প্রশান্ত কিশোরের হাত থাকার কথা অনেকেই বলেন। অন্যদিকে 2020 বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেন দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। এই দুটি কর্মসূচি কার্যত ব্যাপকভাবে জনমানসে সাড়া ফেলে। আর সেই একই কথা এবার বলছে অমর্ত্য সেনের প্রতীচী ট্রাস্ট রিপোর্ট। সম্প্রতি এই ট্রাস্ট একটি সমীক্ষা চালায় এবং সেই সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, বাংলায় দুয়ারে সরকার কিংবা দিদিকে বল কর্মসূচি রাজ্যবাসীর অসন্তোষ, অভিযোগ এবং ক্ষোভ অন্তত 95% দূর করতে সাহায্য করেছে।

প্রসঙ্গত, দেখা গেছে এই দুটি কর্মসূচি জেলায় জেলায় গ্রামে কিংবা শহরে ক্যাম্প করে হয়েছে। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সরকারের কাছে তাঁদের অভাব অভিযোগ তুলে ধরা অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। প্রতীচীর রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, 2019 সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিদিকে বল নামক যে অনলাইন কর্মসূচি গ্রহণ করেন সেখানে 10 লাখেরও বেশি অভাব অভিযোগ জমা পড়েছে। অন্যদিকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে রাজ্য জুড়ে প্রায় 2 কোটি 75 লক্ষ মানুষ এসেছিলেন। সে ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানের হার রেকর্ড ছুঁয়েছে। সমীক্ষা অনুযায়ী প্রায় 95% সমস্যার সমাধান হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেহেতু এটি কমিউনিটি নির্ভর, পরিষেবা বা প্রতিষ্ঠান নির্ভর নয় তাই অসংখ্য মানুষ এই কর্মসূচিতে যোগদান করেছেন। এবং সরকারের কাছাকাছি আসতে পেরেছেন। কার্যত দুয়ারে সরকার এবং দিদিকে বল কর্মসূচির মাধ্যমে যারাই নিজেদের দাবি-দাওয়া রেখেছেন, তাঁরা বর্তমানে সুবিধা পাচ্ছেন। কার্যত জানা যাচ্ছে, এই দুটি কর্মসূচি মূলত গ্রামবাংলার কথা মাথায় রেখে করা হয়েছে। যেখানে অনেকাংশেই দেখা গেছে, সরকারি অফিসে গেলে কাজ হয়না। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী প্রায়শই বলেন, তাঁর জনসমর্থনের মূলভিত্তি রাজ্যের মহিলারা। আর প্রতীচীর রিপোর্টেও সে কথাই দাবি করা হয়েছে।

সরকারি ক্যাম্পে অন্তত 45 শতাংশ মহিলা নানান অভিযোগ জানাতে হাজির হয়েছিলেন। কার্যত প্রতীচীর রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই তথ্যগুলি বর্তমানে ইঙ্গিত দিচ্ছে নিজেদের অধিকার এবং প্রাপ্য বুঝে নিতে মহিলারা অনেক বেশি সচেতন হয়েছেন। একইসাথে রাজ্যে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী এবং বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠীর জন্য শিক্ষামূলক কর্মসূচি, বিধবা ভাতার মত প্রকল্পে মহিলারা অনেক বেশি সাড়া দিচ্ছেন। অন্যদিকে করোনা কিংবা আম্ফানের মতন প্রাকৃতিক বিপর্যয় বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মধ্যেও উল্লেখযোগ্যভাবে মহিলারা নিজেদের অভাব-অভিযোগ সমস্যা তুলে ধরেছেন।

অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সরকারি শিবিরে সবথেকে বেশি সংখ্যক লোক এসেছেন। আর সেখানে অভিযোগ এসেছে 17 শতাংশ। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অভিযোগের হার 11 শতাংশ। এমনিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচি কিংবা দিদিকে বল কর্মসূচি নিয়ে যারপরনাই খুশি। তার মধ্যে অমর্ত্য সেনের প্রতীচী ট্রাস্ট যেভাবে এই দুই কর্মসূচি নিয়ে ইতিবাচক বক্তব্য রেখেছে, তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!