এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ‘দিদিকে খোলা চিঠি’তে তৃণমূলের ‘চার ডাকাতের’ উল্লেখ! উত্তাল ঘাসফুল শিবিরের অন্দরমহল!

‘দিদিকে খোলা চিঠি’তে তৃণমূলের ‘চার ডাকাতের’ উল্লেখ! উত্তাল ঘাসফুল শিবিরের অন্দরমহল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। এককথায় তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে অগ্নিপরীক্ষা। বিজেপি হাওয়াকে ফিকে করে দিতে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতায় আসা এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তাই ক্ষমতায় আসতে গেলে আগে যে দলকে শক্তিশালী করতে হবে, তা অনুভব করেছেন তৃণমূল নেত্রী। যার জেরে প্রশান্ত কিশোরের টিমের গোপন সমীক্ষা মোতাবেক বিভিন্ন জেলায় কাকে দায়িত্ব দিলে দল আরও মজবুত হবে, তার জন্য তৃণমূলে চলছে সাংগঠনিক রদবদল।

ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জেলায় তৃণমূলের সংগঠনে বদল আনা হয়েছে। ঝাড়্গ্রাম জেলা তার মধ্যে অন্যতম। তৃণমূল নেতৃত্ব আশা করছে, এই জেলায় যে সাংগঠনিক পরিবর্তন করা হয়েছে, তার মধ্যে দিয়ে দল ভালো ফল করবে। কিন্তু যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এবার সেই ঝাড়্গ্রাম জেলা সভাপতি, চেয়ারম্যান এবং দুই কো অর্ডিনেটরের নামের সঙ্গে “ডাকাত” শব্দ যুক্ত হওয়ায় তীব্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ল। পাশাপাশি গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

জানা গেছে, “দিদিকে খোলাচিঠি” বলে একটি চিরকুট ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে জেলা তৃণমূলের চার নেতা নেত্রী অর্থাৎ দুলাল মুর্মু, বীরবাহা সোরেন, উজ্জ্বল দত্ত এবং অজিত মাহাতোকে “ডাকাত” বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে লেখা রয়েছে, “দিদি জঙ্গলমহল আপনার দিক থেকে মুখ ফিরিয়েছে। চার ডাকাত কোটি কোটি টাকার কাঠমানি খেয়ে দলকে ডোবাচ্ছে। যদি 2021 এ জঙ্গলমহলে ফিরতে চান, তাহলে আইবি রিপোর্টের সাহায্য নিন।” স্বভাবতই নতুন দায়িত্ব পাওয়া এই জেলা তৃণমূলের চার শীর্ষ নেতা নেত্রীর বিরুদ্ধে একটি চিরকুট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে লেখায় এবং তা গোটা জেলায় ছড়িয়ে পড়ায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

তাহলে কি এর পেছনে দলের কেউ বা কারা জড়িত, নাকি বিরোধীদের একাংশ চক্রান্ত করছে? অনেকে বলছেন, নতুন দায়িত্ব পাওয়া এই চার নেতা নেত্রীর সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্ব কথা বলে পুরোনো যারা ব্লকে বা অঞ্চলের দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের অনেককেই সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কথা হচ্ছে। সেদিক থেকে সেই সমস্ত বিদ্রোহী নেতারা জেলা তৃণমূলের এই চার নেতা নেত্রীর বিরুদ্ধে একটি চিঠি লিখে তা ছড়িয়ে দিয়েছেন বলে দাবি একাংশের। তবে অনেকে আবার বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তি খারাপ করতে বিরোধীদের তরফ থেকেই এই চেষ্টা করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু যাদের নামে এই অভিযোগ উঠেছে, শাসকদলের সেই চার নেতা নেত্রীরা কি বলছেন? এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের চার নেতা নেত্রী বলেন, “নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্য নিয়ে জনসমক্ষে হেয় করার জন্য কুৎসা করা হচ্ছে। কারা করেছে পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক। বিরোধীদের হাত থাকতে পারে।” তবে একাংশ বলছেন, যদি সত্যিই তদন্ত করা হয়, তাহলে কিন্তু এই জেলার তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসতে শুরু করবে।

কেননা ইতিমধ্যেই টোলপ্লাজায় অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ থেকে শুরু করে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের রোগীদের খাবার সরবরাহ করা, নানা ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের অনেক জেলা নেতার। যার জেরে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে যদি সেই রিপোর্ট যায়, তাহলে অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে। সে দিক থেকে যারা এই চিঠি লিখে তা ছড়িয়ে দিয়েছে, তাদের কথার মধ্যে কিছুটা হলেও সত্যতা রয়েছে বলে দাবি করছেন সমালোচকদের একাংশের।

তাহলে কি তৃণমূলের ভেতর থেকেই কেউ এই ধরনের চিঠি লিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এই ধরনের কাজ করলেন! তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। তবে যে কারণেই এই চিঠি লেখা হোক না কেন, এর ফলে তৃণমূলের এই জেলার চার শীর্ষ নেতার অস্বস্তি যে ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!