এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > ‘দিদিকে বলো’র কর্মী পরিচয়ে বড়সড় আর্থিক প্রতারণা করে এবার পুলিশের জালে যুবক! শোরগোল রাজ্যে!

‘দিদিকে বলো’র কর্মী পরিচয়ে বড়সড় আর্থিক প্রতারণা করে এবার পুলিশের জালে যুবক! শোরগোল রাজ্যে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আপামর রাজ্যবাসীর নানা অভাব-অভিযোগের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে ও তাদের সমস্যার দ্রুত সমাধান কল্পে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে “দিদিকে বলো” নামে একটি ক্যাম্পেনের আয়োজন করা হয়। যেখানে ফোন করে সরাসরি নিজের অভাব অভিযোগ ব্যক্ত করার ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার। কিন্তু, “দিদিকে বলো” হেল্প লাইনে কাজ করার কথা জানিয়ে, সহজে লোন পাইয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ের জনৈক যুবকের বিরুদ্ধে। ফুলিয়ার শান্তিপুর নিবাসী জনৈক প্রতারিত তার নামে অভিযোগ দায়ের করলেন শান্তিপুর থানায়। এরপর শান্তিপুর থানার পুলিশ টিটাগরে গিয়ে গ্রেপ্তার করে তাকে।

গত শনিবার রাতে ফুলিয়া নিবাসী বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের শান্তিপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে শান্তিপুর থানার পুলিশ টিটাগরে গিয়ে গ্রেফতার করল আক্রম আলি নামে জনৈক অভিযুক্ত যুবককে। পুলিশের জেরা ও জিজ্ঞাসাবাদের সামনে অভিযুক্ত আক্রম আলি শেষ পর্যন্ত লোন পাইয়ে দেবার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার অর্থ হাতিয়ে নেবার কথা স্বীকার করে নিয়েছে, নিজের ভুলও স্বীকার করেছে সে। এ প্রসঙ্গে তাকে বলতে শোনা গেছে, ” লোন পাওয়ার আশায় আমি ১২ হাজার টাকা দিয়েছি। আমি এখন ওই কাজ ছেড়ে দিয়েছি।” পুলিশের কাছে নিজের প্রকৃত নামও স্বীকার করে নেয় সে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত ফুলিয়া নিবাসী বিশ্বজিৎবিশ্বাসকে অভিযুক্ত আক্রম আলি লোন পাইয়ে দেবার নাম করে তাঁর কাছে থেকে দু দফায় হাতিয়ে নিয়েছে ১২০০০ টাকা এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। প্রতারিত বিশ্বজিৎ বিশ্বাসকে অভিযুক্ত আক্রম আলি নিজের প্রকৃত নাম গোপন করে নিজের নাম ‘বিশ্বজিৎ বাগ’ বলে পরিচয় দিয়েছিল। তখন সে জানিয়েছিল যে, সে দিদিকে বলো হেলপ্লাইনে কর্মরত। যার সুবাদে সে সহজে লোন পাইয়ে দেবার বন্দোবস্ত করে দিতে পারে।

এরপর তাঁকে লোন পাইয়ে দেবার নাম করে ২ দফায় মোট ১২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় সে বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের কাছ থেকে। কিন্তু এই টাকা তাকে এই টাকা দিয়ে দেবার পরে বেশ কয়েকটা মাস অতিক্রান্ত হলেও লোনের কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় বিশ্বজিৎ বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত শান্তিপুর থানায় পুলিশের দ্বারস্থ হন। সেখানে পুলিশের কাছে তিনি জানান যে, লোন দেওয়ার নাম করে টিটাগরের এই সন্দেহভাজন তাঁর কাছ থেকে ১২০০০ টাকা নিয়েছে। কিন্তু টাকা নিয়ে নেওয়ার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা বন্ধ করে দিয়েছে। কয়েকমাস পরেও লোনের টাকা না মেলায় তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্বারস্থ হন পুলিশের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!