এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > দীঘায় ৩ দিনে উঠল ৯০ টন ইলিশ, আপনার পাতে এবার সুস্বাদু মাছ ৩০০ টাকাতেই

দীঘায় ৩ দিনে উঠল ৯০ টন ইলিশ, আপনার পাতে এবার সুস্বাদু মাছ ৩০০ টাকাতেই

কথায় বলে মাছে ভাতে বাঙালী। ভাতের পাতে একটুকরো মাছ নাহলে যার চলে না সে হল আদ্যপান্ত বাঙালী। আর সেই মাছ যদি হয় ইলিশ তাহলে তো আর কথাই নেই। গত এক দুই মাস ধরে ক্রমাগত ভালো ইলিশ একটু কম দামে পাবার আশায় হা পিত্যেশ করে বসে ছিলেন যাঁরা তাঁদের জন্য খুশির খবর! দিঘা মোহনায় কাঁথির উপকূলের মৎস্যজীবীদের জালে ইলিশ উঠেছে প্রায় ১০০ টনের ওপর। তার ফলে  ইলিশের চড়া দাম এখন মধ্যবিত্তের নাগালেই চলে এসেছে। বাঙ্গালির মন ভালো করা এই খবর জানিয়েছে দীঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন। এই ‘ইলিশ ভাগ্যর’ জন্য দায়ী পুবালি হাওয়া আর ঝিরঝিরে বৃষ্টি।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

১৪এপ্রিল থেকে ১৪জুন¬-দীর্ঘ দু মাসের ‘ব্যান পিরিয়ড’ কাটিয়ে মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন। ইলিশের মরশুমের শুরুতে ইলিশ আশানুরূপ না ওঠায় মৎস্যজীবীরা বেশ হতাশগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু, গত বুধবার রাত থেকে দফায় দফায় ট্রলার-লঞ্চে প্রচুর ইলিশ নিয়ে ফিরতে থাকেন দীঘা মোহনা সহ পেটুয়াঘাট, শঙ্করপুর ও শৌলা মৎস্যবন্দরের মৎস্যজীবীরা। জোগানের শুরুতে দাম বেশী থাকলেও যতো জোগান বাড়তে থাকে তত দাম পড়তে থাকে ইলিশের।

 

এরই মধ্যে শনিবার এবং রবিবার নিম্নচাপের কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকবে বলে গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিকারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই শঙ্করপুর, পেটুয়াঘাট, শৌলা মৎস্য বন্দর থেকে ফিরে এসেছে ট্রলার-লঞ্চগুলি আর তাতেই এসেছে ইলিশের বন্যা। প্রসঙ্গত, দীঘা মোহনা পাইকারি বাজার সূত্রে খবর, শনিবার দীঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে ১২০০গ্রাম ১৪০০ গ্রামের ইলিশের দাম ছিল ১০০০টাকার মত। সেই অনুপাতে দাম কমেছে কম ওজনের ইলিশেরও। ৩০০গ্রাম থেকে ৫০০গ্রাম ইলিশের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৩০০টাকা থেকে ৩৬০টাকা। আর ৫০০গ্রাম থেকে ৭০০গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৫০০টাকা কেজি দরে। ৮০০-৯০০গ্রাম কিংবা এককেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৭০০টাকা থেকে ৮০০টাকা কেজি।

 

এদিন স্থানীয় লোকজনদের পাশাপাশি দীঘায় বেড়াতে আসা পর্যটকদেরও ইলিশ কিনে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। স্থানীয়দের মতে জোগান অনুপাতে ইলিশের দাম আরও কমা উচিত। কিন্তু দীঘা মোহনার আড়তদারের বক্তব্য এই মত সঠিক নয়। তবে মতের অমিল যাই হোক আগামী মাস খানেক বাঙালী ইলিশে বুঁদ হয়ে থাকবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!