প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ছোটবেলায় সব বাচ্চাকেই নীতিকথার গল্প পড়ে শোনানো হয়। তার একটাই কারণ, বাচ্চাদের মনে করা হয় নরম মাটির মতন। তাদেরকে যেভাবে তৈরি করবে তারাও ঠিক সেভাবেই তৈরি হবে। ছোটবেলায় বাচ্চাদের মন থাকে একেবারে সহজ সরল, তাই সেই মনে যদি নীতিবোধ গুলোকে ঢুকিয়ে দেওয়া যায় তাহলে সারা জীবন সে সেই নীতিগুলোকে কাজে লাগিয়ে জীবনে সফল হতে পারে। আক্ষরিক অর্থে মানুষের মত মানুষ হয়ে উঠতে পারে।

বর্তমানে বাচ্চাদের গল্পের বই পড়ার প্রবণতা প্রায় দেখা যায় না বললেই চলে। তাই খেলনা নিয়ে কিছু ভাবনার দিকে এগোচ্ছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি টুইট করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তিনি সমস্ত স্টার্টআপ ও নতুন বিনিোগকারীদের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন, যাতে মানসিক কসরৎ হয় এমন খেলনা প্ৰস্তুত করার দিকে নজর দেওয়া হয়। তাছাড়া পরিবেশবান্ধব খেলনা সামগ্রী প্রস্তুতের কথাও মাথায় রাখতে বলা হয়েছে। তাঁর মতে খেলা বাচ্চাদের পছন্দের বিষয়। তাই এর মাধ্যমেই যদি মগজাস্ত্রে শান দেওয়ার কাজ করা যায় তবে তার থেকে ভালো কিছু হয়না।

তাঁর মতে করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ। তাই এই সময় নতুন ডিজিটাল গেম তৈরি করা যা আন্তর্জাতিক বাজারে মান্যতা পাওয়ার যোগ্যতা রাখে,এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হবে। এই খাতেও পরবর্তীকালে চাকরির একটি নতুন সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে বলে জানা গেছে। ফলে রূপকথায় ভর করে ও দেশীয় সংস্কৃতির ব্যবহারে নতুন ডিজিটাল গেম তৈরি করা যেতেই পারে।

জানা গেছে ইতিমধ্যেই তিনি বিভিন্ন খেলনা প্রস্তুতকারী সংস্থার সাথে এই বিষয়ে কথোপকথন সেরে ফেলেছেন। নীতিন গড়করি এবং স্মৃতি ইরানিরাও এই ডিজিটাল আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে সফল হলে বাচ্চাদের সামগ্রিক বিকাশের সহায়ক হয়ে উঠবে এই সব খেলনা। সঙ্গে এই সব খেলনা বিভিন্ন অঙ্গনওয়ারীতে সরবরাহ করা হবে বলেও সরকারি তরফে জানানো হয়েছে। তবে এটা আগামী ভোটে ডিজিটাল ভারত স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রীর নতুন মগজাস্ত্র হিসেবেই দেখছেন অনেকে।