২০২১ -এ পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল মুছে যাবে দাবি দিলীপ ঘোষের রাজ্য January 14, 2018 তৃণমূল বিজেপি -হটাও স্লোগান দিচ্ছেন ,তখন বিজেপির দাবি ২০২১ -এ পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলকে মুছে যাবে। বঙ্গ থেকে তৃনমূলের মুছে যাওয়ার সময় এসে গেছে বলেই দাবি করেছেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ।বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় দলের সংখ্যালঘু মোর্চার তরফে আয়োজিত সভায় রাজ্যের শাসক দলকে আবারও আক্রমণ করলেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, উত্তরপূর্ব ভারতে মণিপুরে আমরা তৃনমূলের দোকান বন্ধ করে দিয়েছি ।ত্রিপুরায় ওনার দলের ছ’জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। ওখানে মমতার ছবিসহ জোড়াফুলের সাইন বোর্ড নামিয়ে রাখা হয়েছে। এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকেও তাঁর নাম সরে যাবে। পাশাপাশি এদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তোপ দাগতে রাজ্যে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর উন্নয়নকে তুলে ধরে বলেন, কেবল মৌলবিদের ভাতা দিলে বা হিজাব পড়লেই উন্নয়ন হয়না । এসবে শুধুমাত্র সস্তার জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়। মানুষ এই সব দেখে একবারই ভোট দেয় ।রাজ্যে সংখ্যালঘুদের সার্বিকভাবে কোনো উন্নয়ন চোখে পড়ে না। চাকরির ক্ষেত্রেও কোনো ব্যবস্থা নেই নি বলেই অভিযোগ করেন দিলীপ বাবু।এর সাথে তিনি শাসক দলের ভোট ম্যানেজারদের উদ্যেশ্য প্রশ্ন তুলে বলেন , মুখ্যমন্ত্রীর সংখ্যালঘুদের প্রতি এত ভালোবাসা তাহলে ভোটের ফলাফলে কিভাবে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলে বিরোধীদের ভোট বেশি ? এদিন খড়্গপুরের বিধায়ক বলেন, বাংলায় তৃনমূলের হোলসেল দোকানে তালা লাগিয়ে দেব। ২০১৯ সালে ওদের অর্ধেক ঝাঁপ বন্ধ করব।তারপর ২০২১সালে পুরো দোকানই বন্ধ করে দেব। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগের পাল্টা হিসাবে তৃনমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,ঘোষবাবুরা এখন কুল কিনারা পাচ্ছেন না । একটা কচ্ছপকে উল্টে দিলে যেরকম হয়, ওরা তেমনই হাত-পা ছুঁড়ছে।কিন্তু কিছুই করতে পারছেনা। জনসংযোগ তৈরি করতে না পারায় গন্ডগোল করার চেষ্টা করছে। মানুষের পাশে দীর্ঘ লড়াইয়ের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা করে দেখিয়েছেন । তাই ব্রাহ্মণ মেয়ে হয়েও তাকে বলতে হয়না আমি হিন্দু। কারণ তিনি সর্বধর্ম সমন্বয়ের ভারতীয় ঐতিহ্যর সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করে নিয়েছেন। আপনার মতামত জানান -