প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত দিন যাচ্ছে, ততই তৃণমূলে ভাঙ্গন ধরতে শুরু করেছে। বর্তমানে তৃনমূলের হেভিওয়েট শীর্ষ নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে এমনিতেই শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে। সৌগত রায় মধ্যস্থতা করে শুভেন্দু অধিকারীর মান ভাঙানোর চেষ্টা করলেও, লাভের লাভ কিছুই হয়নি। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সেই সৌগত রায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ। যেখানে পাল্টা সেই দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করলেন সৌগত রায় থেকে কুনাল ঘোষ। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্রের খবর, এদিন শুভেন্দু অধিকারীর মান ভাঙাতে ব্যর্থ সৌগত রায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “যে দুজন বুড়ো খোকাকে নামানো হয়েছিল, যারা সব সময় এক্সট্রা প্লেয়ার হিসেবে খেলেন, সাইড লাইনের বাইরে ছিলেন, তাদের ঢুকিয়ে দিয়ে গোল খেয়ে গিয়েছে। সেমসাইড গোল হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের।” এদিকে দিলীপ ঘোষের পক্ষ থেকে যখন নাম না করে সৌগত রায়ের উদ্দেশ্যে এই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে, তখন পাল্টা তাকে কটাক্ষ করেছেন সেই সৌগত রায় এবং কুনাল ঘোষ।

এদিন এই প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, “দিলীপ ঘোষ ফুটবল দলের প্লেয়ার করার মত ঘুরছে। প্লেয়ার কিনতে তিনি সফল হয়েছেন কিনা, তা দিলীপ ঘোষ বলতে পারবেন।” এদিকে সৌগত রায়ের উদ্দেশ্যে “বুড়ো খোকা” মন্তব্য অত্যন্ত অপমানজনক বলে দাবি করেন কুনাল ঘোষ। তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষের মুখে এই কথাটা কি বলায় শোভা পায়! যেখানে বিজেপির শোভন চট্টোপাধ্যায় নিজের বান্ধবীর আঁচল ধরে ছাড়া চলতে পারেন না, সেখানে তার মানভঞ্জন বিজেপির বুড়ো খোকা আধদামড়ারা সেখানে গিয়ে বসে থাকে, সেখানে দিদলীপবাবুকে বৈশাখীকে ফোন করে বলতে হয়, আমি মধ্যাহ্ন ভোজ খেতে যাব। সেগুলোকে কি বলে!”

স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে যে তরজা ক্রমশ চরম আকার ধারণ করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যেভাবে এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই রাজনৈতিক দলের নেতারা একে অপরকে উদ্দেশ্য করে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন এবং কোথাও কোথাও শালীনতার মাত্রা অতিক্রান্ত হল, তাতে রীতিমতো হতচকিত রাজনৈতিক মহল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী কী করবেন, তা একমাত্র তিনিই বলতে পারবেন। জানা গেছে, আগামী রবিবার এই ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা। তবে তার আগে যেভাবে সেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা তৈরি হয়েছে, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন সকলে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।