এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দিলীপ ঘোষের অনুকরণেই এবার মানুষের মন বোঝার চেষ্টায় ময়দানে নামছেন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতারা?

দিলীপ ঘোষের অনুকরণেই এবার মানুষের মন বোঝার চেষ্টায় ময়দানে নামছেন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতারা?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দলের জণসংযোগ বাড়াতে চায়ে পে চর্চার মত জনসংযোগ মূলক কর্মসূচিকে বেছে নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির এই কর্মসূচিকে একটা সময় তৃণমূল কটাক্ষ করেছিলো। কিন্তু, পরবর্তীতে দেখা গেছে যে, বিজেপির এই কর্মসূচি যথেষ্ট সফল হয়েছে। যেখানে সাধারন মানুষের ভীড় উপচে পড়ছে। এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের এই চা-চক্রের কর্মসূচির অনুকরণেই তৃণমূল নিতে চলেছে চায়ের ঠেকে আড্ডা কর্মসূচি।

সকালের প্রাতঃভ্রমণ থেকে শুরু করে সন্ধ্যায় চায়ের দোকানের আড্ডা পর্যন্ত, শহরের সমস্ত মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিল মালদহ জেলার ইংলিশ বাজার শহর তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই দলের সমস্ত বয়সের নেতাদের কাজে লাগিয়ে এই নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেন ইংলিশবাজার শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি বা নন্দুবাবু। তিনি জানালেন যে, প্রাতঃভ্রমণের ময়দানে মানুষের মন বুঝতে দলের বসে যাওয়া প্রবীণ নেতাদের আবার দল সক্রিয় করবে। এর সঙ্গে সঙ্গেই চায়ের ঠেকে আড্ডা দেওয়ার জন্য পাঠানো হবে দলের যুবক নেতাদের।

প্রসঙ্গত চায় পে চর্চা কর্মসূচির মাধ্যমে বিজেপির যথেষ্ট সাফল্য লাভের পর বিজেপির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামলো তৃণমূল, এর পাল্টা হিসেবে তারা চায়ের ঠেকে আড্ডা কর্মসূচির গ্রহণ করেছে। এমনটাই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের এই নতুন কর্মসূচিকে কটাক্ষ করা হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তৃণমূল অনেক দেরী করে ফেলেছে। মানুষ তাদের কথার আর কোন আমল দেবেনা।

তবে, এ প্রসঙ্গে শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি জানালেন যে, সামনের বছরে আছে বিধানসভা নির্বাচন। আবার যেকোনো সময়ে অনুষ্ঠিত হতে পারে পুরভোট। এই দুই নির্বাচনের ধরণ আলাদা হলেও, মানুষের মন জয় করতে না পারলে দুক্ষেত্রেই সাফল্য পাওয়া যাবেনা। তাই তাঁরা গুরুত্ব দিচ্ছেন জনসংযোগে। তৃণমূল তাঁকে শহরের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই ইংলিশ বাজারের সংগঠন মজবুত করার কাজে মন দিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন যে, বয়স্ক মানুষেরা প্রতিদিন প্রাতঃ ভ্রমণে বের হন। তাদের মন বুঝতে নামানো হচ্ছে প্রবীণ নেতাদের। দলের বসে যাওয়া প্রবীণ নেতাদের এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করা হবে। আবার, কমবয়সীদের মন জয় করতে যুবকদের কাজে লাগানো হবে। তাদের অভাব-অভিযোগ, সুবিধা-অসুবিধার কথা জানবেন তারা। সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিজেপিকে নকল করা হচ্ছে কিনা? সে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানালেন যে, বিজেপিকে নকল করার কোন প্রশ্নই আসে না। তিনি জানান যে, বিজেপির মত তৃণমূল চমকের রাজনীতি করেনা। মানুষের সঙ্গে সারা বছর মিশে থাকে তৃণমূল। অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে মালদহ জেলা বিজেপির সহ সভাপতি তথা বিজেপি দলের মিডিয়া ইনচার্জ অজয় গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন যে, শহরবাসীর মনে তৃণমূলের কোন স্থান নেই। তাই তাদের নকল করে তৃণমূল বিশেষ সুবিধা করতে পারবে না। বিজেপি চায়ে পে চর্চার মাধ্যমে মানুষের মন বোঝার চেষ্টা করে। অন্যদিকে চায়ের ঠেকে গিয়ে তৃণমূল নেতারা কাটমানি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে তিনি মনে করছেন।

এদিকে গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে বিচার করলে ইংলিশবাজার বিধানসভা এলাকায় বিজেপি ব্যাপক ভোটে লিড পায়। শহরের সবচেয়ে বেশি ভোটে এগিয়ে যায় গেরুয়া বাহিনী। সেই ফলাফলের যদি পুনরাবৃত্তি ঘটে তবে ইংলিশ বাজার পুরসভা, বিধানসভা তৃণমূলের হাতছাড়া হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে দলের সংগঠনকে মজবুত করতে পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও দীর্ঘসময়ের কাউন্সিলর নন্দুবাবুকে শহরের দায়িত্ব দেয়া হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজে নেমে পড়েছেন তিনি। তারপর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দলের জনসংযোগ বাড়াতে দীর্ঘদিন ধরেই চায়ে পে চর্চা কর্মসূচি পালন করছেন। প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে চা খেয়ে, আড্ডা দিয়ে জনসংযোগ বাড়াচ্ছেন তিনি। প্রথমে যখন তিনি এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন, সে সময় তৃণমূল কটাক্ষ করেছিল তাঁকে। তৃণমূল দাবি করেছিল, তৃণমূল সবসময় মানুষের পাশে থাকে। তাই তৃণমূলের এসবের প্রয়োজন নেই। বিজেপি নেতারা ভোটের রাজনীতি করেন। তাই এসব লোক দেখানো কাজ করতে হয় বিজেপিকে।

কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই সাফল্য পেয়েছে দিলীপ ঘোষের চায় পে চর্চা কর্মসূচি। যেখানে একত্রিত হয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। ভিড় জমে গেছে। বিজেপির এই সাফল্যের পর তৃণমূল একই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করায় তাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে যে, তৃণমূল নেতারা যদি সারা বছর মানুষের পাশে থাকেন? তাহলে তাদের বিজেপির রাজ্য সভাপতির কর্মসূচির অনুপ্রেরণা কেন নিতে হচ্ছে? তৃণমূল দলের নিজের অনুপ্রেরণা কি কম পড়েছে দলের কাছে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!