এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দিলীপ ঘোষের কর্মসূচিতে বিজেপি কতটা লাভবান? প্রশ্নঅসন্তোষ দলের অন্দরেই? একুশের আগে অস্বস্তি

দিলীপ ঘোষের কর্মসূচিতে বিজেপি কতটা লাভবান? প্রশ্নঅসন্তোষ দলের অন্দরেই? একুশের আগে অস্বস্তি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নিজ দলের প্রচার স্বার্থে যখন মুখ্যমন্ত্রী ‘বাংলার গর্ব মমতা’, ‘দিদিকে বল’ এরকম ধরনের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন, তখন এর পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে গত বুধবার বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে
‘ দুর্নীতির বিরুদ্ধে দিলীপদা ‘ নামে একটি বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো। এই কর্মসূচির মাধ্যমে পশ্চিম বাংলার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে তুলে ধরা হল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির রাজনৈতিক লড়াইয়ে রাজ্য সভাপতি তার মুখ কেন ব্যবহার করবেন এই ব্যাপারটি বিষয়টি নিয়েই শুরু হলো বিতর্ক।

ইতিমধ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি। কিন্তু এই আবহে রাজ্য সভাপতি দলের প্রচারকে গুরুত্ব দিচ্ছেন? নাকি দলের প্রচারের আড়ালে নিজের ব্যক্তিগত ইমেজ তৈরির জন্যেই কি নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করছেন? দলের ভেতর থেকে এমন নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নিজের ব্যক্তিগত প্রচারের স্বার্থে রাজ্য সভাপতি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, এমনকি কর্মসূচিতে তিনি নিজের নাম পর্যন্ত ব্যবহার করেছেন বলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিজেপি দলের অন্দরে থেকেই।

রাজ্য সভাপতির এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে, রাজ্য বিজেপি দলের সহ সভাপতি জানিয়েছেন,
” দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই দলীয় কর্মসূচি। এটা কোনও ব্যক্তির কর্মসূচি হতে পারে না। এটি একটি পার্টির প্রোগ্রাম। কিন্তু এমনইভাবে বার্তা দেওয়া হয়েছে তাতে মনে হয়েছে- এটা ব্যক্তিগত প্রচার। দিলীপদা পার্টির সভাপতি এবং দলের স্বার্থে দলীয় প্রচার ও কর্মসূচি চালু করার অধিকার তাঁর রয়েছে। তবে এই ঘোষণায় অভিযানটি তাঁর ব্যক্তিগত কর্মসূচিই যেন প্রকট হয়েছে। ”

অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সেইসঙ্গে প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহা জানিয়েছেন যে, এই ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে দিলীপ দা’ কর্মসূচিটি আসলে রাজ্য সভাপতির ব্যক্তিগত একটি কর্মসূচিতে পর্যবসিত হলেও, এই কর্মসূচির ফলে লাভবান হবে বিজেপিই। তবে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের ধারণা, মূলত বিতর্ক ধামাচাপা দিতেই এরকম মন্তব্য করেছেন দলের প্রাক্তন সভাপতি। কারণ, দিলীপ ঘোষের নামে দলীয় কর্মসূচি গ্রহণ করতে অনেক নেতাই আপত্তি করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির রায়ের মোট ১৮ টি লোকসভা আসনের অভূতপূর্ব জয়কে সম্পূর্ণভাবে নিজের কৃতিত্বে বলে প্রচার করতে চাইছেন রাজ্য সভাপতি। আর এই কৃতিত্বের উপরে ভোর করেই তিনি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দলের মুখ হবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এমন অভিযোগ ই উঠেছে দলের অন্দর থেকে। রাজ্য সভাপতির এই একতরফা প্রচারের ফলে ক্ষুব্ধ হয়েছেন রাজ্য বিজেপির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবর্গ।

বিজেপি দলের বিশেষ একটি সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে রাজ্য বিজেপি যদি নিজের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে নির্বাচনে লড়াই করে, তবে দলের শীর্ষ পদে আসীন থাকবার কারণেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার প্রধান দাবিদার। প্রসঙ্গত, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বেই বিজেপি দলের সভাপতি হিসেবে পুনঃ নির্বাচিত হয়েছেন। তবে দলের একটি কর্মসূচিতে নিজের নাম ব্যবহারের রাজ্যসভাপতির এই একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতা মুকুল রায়, সম্পাদক রাহুল সিনহা থেকে শুরু করে একাদিক নেতৃত্ব যথেষ্ট ক্ষুব্ধ ও সরব হয়েছেন।

প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে বিজেপির শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন ও জেপি নাড্ডা কলকাতায় এক বিশেষ বৈঠকে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন। এই বিশেষ বৈঠকে তারা নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, রাজ্য বিজেপির অন্দরের সমস্ত মতভেদ, মতান্তর দূর করে কযোগে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচন উপলক্ষে এগিয়ে যাবার। তাঁদের এই ঘোষণার পর থেকেই ঐক্যের রূপ দেখা যায় রাজ্য বিজেপির অন্দরে। কিন্তু তার পরেই রাজ্য সভাপতির এই একতরফা সিদ্ধান্তে আবার অনৈকর ছায়া দেখা গেল রায় বিজেপির অন্দরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!