দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সখ্যতা বাড়ছে মমতার? চায়ের আমন্ত্রণ ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য August 16, 2021 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কথায় কথায় যিনি তৃণমূল সরকারের বিরোধিতা করেন, প্রতিটি বিষয় তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন, সেই দিলীপ ঘোষকে এবার চা-চক্রে আমন্ত্রণ জানালেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাকে ঘিরে রীতিমতো জল্পনা তুঙ্গে উঠতে শুরু করেছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের জায়গায় রয়েছে বিজেপি। একদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং অন্যদিকে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে চলেছেন। অন্যদিকে বিজেপিকেও পাল্টা কটাক্ষ করতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল। তবে স্বাধীনতা দিবসের দিন রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী চা-চক্রে গিয়ে বিজেপির দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার পরেই তাকে আমন্ত্রণ জানালেন। স্বভাবতই মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, রীতি অনুযায়ী এদিন রাজভবনের চা-চক্রে উপস্থিত হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কোনো কথা না বললেও দিলীপ ঘোষকে সরাসরি চা-চক্রে আমন্ত্রণ জানান তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শুধু তাই নয়, বাড়ির কালীপুজোতেও দিলীপ ঘোষকে আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখানেই তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। অনেকে বলছেন, বর্তমানে বিজেপির অন্দরে কিছুটা হলেও দিলীপ ঘোষের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর দ্বৈরথ তৈরি হচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিমুহূর্তে সরব হওয়া শুভেন্দুবাবুকে চাপে ফেলতে কি দিলীপবাবুর প্রতি নরম করে তাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিজেপির শক্তিক্ষয়ের চেষ্টা এবং শুভেন্দুবাবুকে চাপে ফেলার কৌশল অবলম্বন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এখন তা নিয়ে নানা মহলে শুরু হয়েছে চর্চা। অনেকে আবার বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবর সৌজন্যতার পরিচয় দিয়েছেন। এক্ষেত্রে সরাসরি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে রাজভবনে দেখা হয়ে যাওয়ার কারণে তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। এর পেছনে রাজনৈতিক কোনো কারণ রয়েছে বলে মনে করেন না একাংশ। তবে যে যাই বলুন না কেন, যে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে রাজ্য সরকারের প্রতিমুহূর্তে বনিবনার অভাব, সেই প্রধান বিরোধী দলের প্রধান সেনাপতিকে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই আমন্ত্রণ যে খুব একটা হালকাভাবে নিচ্ছে না একাংশ, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে চা-চক্রে উপস্থিত হন কিনা দিলীপ ঘোষ, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -