এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > দিলীপ ঘোষ অসভ্য ও বর্বর, বিজেপি একটি অসভ্য ও বর্বরের দল: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

দিলীপ ঘোষ অসভ্য ও বর্বর, বিজেপি একটি অসভ্য ও বর্বরের দল: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক


রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পাল্টা দিতে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অন্ডালের প্রকাশ্য জনসভা থেকেই দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন শাসকদলের এই হেভিওয়েট নেতা।

দিলীপ ঘোষকে ‘অসভ্য’,’বর্বর’ বলে সম্বোধন করে বিজেপিকেও ‘অসভ্য ও বর্বরের দল’ বলে ব্যাখ্যা করলেন তিনি। বক্তব্যে শালীনতার সমস্ত সীমা পেরিয়ে বললেন,”রাজ্য বিজেপির উচিত দিলীপ ঘোষের চিকিৎসা করানো। ও একটা বদ্ধ পাগল। ওর রাঁচিতেও জায়গা হবে শেষে।”

এখানেই শেষ নয়, প্রসঙ্গে আরো জানালেন বিজেপি সভাপতির পাশে আপাতত কেউ নেই। রাহুল গোষ্ঠী এবং মুকুল গোষ্ঠীর সঙ্গে দিলীপ বাবুর সম্পর্ক ভালো নেই। কাজেই রাজ্য বিজেপি সুপ্রিমোর যাওয়ার জায়গা নেই।

তাছাড়া দিলীপ বাবু যে ধরণের কথা বলেন,তা ওই ক্লাস থ্রিতে পড়া বাচ্চার মতোই। দিলীপ বাবুকে ‘অশিক্ষিত মানুষ’ বলে সম্বোধন করতেও দুবার ভাবলেন না জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বললেন,কোথায় কী কথা বলতে হয় সে জ্ঞান নেই দিলীপ ঘোষের। সঙ্গে জাতীয় বিজেপি সুপ্রিমো অমিত শাহকে পরামর্শও দিলেন দিলীপ বাবুকে সঠিক শিক্ষা দেওয়ার,কাকে কী বলে সম্বোধন করতে হয় তার সঠিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার। কিন্তু জ্যোতিপ্রিয় বাবু কেন হঠাৎ দিলীপ ঘোষের জন্য রেগে গেলেন? আসুন জেনে নেওয়া যাক।

রাজনৈতিক সূত্রের খবর,দিন কয়েকআগে দুর্গাপুরের সাগড়ভাঙাতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের তাড়া করে মাঠ ছাড়ার পর রাজ্য বিজেপি একটি সভার আয়োজন করে। এই সভার ঠিক দুদিন পরে একই মাঠে সভা করে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে হুমকি দেন। বলেন,”যদি বিজেপি নেতাদের বুকের পাটা থাকে তাহলে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় আর একবার এভাবে সভা করে দেখান। তারপর ওদের ৬ মাস নার্সিংহোমে থাকতে হবে।”

গতকাল এর জবাব দিতেই অন্ডালের শ্যামসুন্দরপুরে সভা করে বিজেপি। সভায় দিলীপ ঘোষের সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, মুকুল রায় সহ অন্যান্য বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। প্রকাশ্য জনসভায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম উল্লেখ না করেই দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি (জিতেন্দ্র তিওয়ারি) এমন কথা বলেছেন যাতে বিজেপি বারবার ফিরে আসতে পারে।

কিন্তু সরাসরি জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিলীপ বাবু বললেন, বিজেপিকে যদি অতিথি সেবায় নামতে হয়,তাহলে সে আর ফিরে আসবে না। প্রসঙ্গে জানালেন,”মিঠুন চক্রবর্তীর সিনেমার সেই ডায়লগ শুনেছেন, মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে। তাহলে আমি একটু ঘুরিয়ে আপনাকে বলে যাচ্ছি, মারব এখানে, লাশ পড়বে যেখানে-সেখানে।”

দিলীপ ঘোষের এই আক্রমণের পাল্টা দিতেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মারমুখী ভূমিকায় পাওয়া গেল রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীকে। শুধু জ্যোতিপ্রিয় বাবুই নন,দিলীপ ঘোষের হুঁসিয়ারী প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। বললেন, বিজেপি সভাপতি যে ভাষায় কথা বলেন,সে ভাষায় কথা বলতে তৃণমূলের রূচিতে বাঁধে। এভাবে অশালীন ভাষায় মন্তব্য করে শক্তি প্রদর্শন করা যায় না। বিজেপির না আছে শিক্ষা,না জানে তাঁরা সংস্কৃতি। এরা কীভাবে দেশ শাসন করছে সেটাই বড় বিষ্ময়ের!

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

জ্যোতিপ্রিয় বাবুর কথায় তাল মিলিয়ে শোভন বাবু বললেন, বিজেপি নেতাদের আগে সভ্যতা-ভদ্রতা শেখা উচিৎ, নয়তো দেশ উচ্ছন্নে যেতে সময় লাগবে না। লোকসভা ভোটের দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে ফের তৃণমূল-বিজেপির আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের জের উত্তপ্ত হল বঙ্গের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে। এবং যতদিন না ভোট সম্পন্ন হয় ততোদিন এরকম পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!