এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সংসদে ঘুমোচ্ছেন দিলীপ ঘোষ, ভাইরাল ছবি, ট্রোল সোশ্যাল মিডিয়ায়

সংসদে ঘুমোচ্ছেন দিলীপ ঘোষ, ভাইরাল ছবি, ট্রোল সোশ্যাল মিডিয়ায়

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলে সুশাসন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলা থেকে 18 টি আসন নিজেদের দখলে রেখেছে গেরুয়া শিবির। আর তারপর থেকেই সংসদে শুরু হওয়া অধিবেশনে বাংলার সাংসদেরা রাজ্যের জন্য ঠিক কতটা উন্নয়নের দাবি তুলতে পারেন, তার দিকে নজর ছিল প্রত্যেকেরই।

ইতিমধ্যেই তৃণমূলের 22 জন সাংসদের মধ্যে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ মহুয়া মৈত্র প্রথম দিনেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করে বিরোধীদের নয়নের মণি হয়ে গিয়েছেন। মূলত সংসদই হচ্ছে এমন একটা ক্ষেত্র, যেখানে নিজের সংসদীয় এলাকার গুরুত্বপূর্ণ দাবি-দাওয়া নিয়ে সেখানে সোচ্চার হন প্রতিটি সাংসদ। আর এবার সেই সংসদেই দেখা গেল বেমানান চিত্র।

সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির জয়ের অন্যতম কাণ্ডারী মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষকে সংসদের মধ্যে গভীর নিদ্রায় মগ্ন হতে দেখা গেল। সূত্রের খবর, এদিন যখন সংসদ চলছে, যখন সংসদে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখছেন এক সাংসদ, ঠিক তখনই তার পেছনের বেঞ্চে বসে থেকে ঢুলতে দেখা যাচ্ছে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষকে। আর তৃণমূলের তরফে এবার দিলীপ ঘোষের এই নিদ্রার ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিয়েছে ফলে এখন তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে বিজেপির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূলের প্রশ্ন, লোকসভা নির্বাচন তাদের কাছে সেমিফাইনাল বলে দাবি করা বিজেপি বাংলা থেকে 18 টা আসন নিয়ে গিয়েও যদি সংসদে এইভাবে দিলীপ ঘোষ ঘুমোন, তাহলে বাংলায় তারা যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে তাদের অবস্থা কি হবে! এদিকে দিলীপ ঘোষের এদিনের এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিয়ে “কাকে ভোট দিলেন দাদা, পার্লামেন্টে ঘুমোচ্ছে দিলু কাকা” বলেও বিজেপিকে খোঁচা দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে।

তবে এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত সেইভাবে বিজেপির তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও গেরুয়া শিবিরের অনেকে বলছেন, আসলে কুৎসা করাই তৃণমূলের প্রধান কাজ। আর তাই তারা এখন এসব করে বিজেপিকে ঠেকাতে চাইছে। কিন্তু এতে লাভের লাভ কিছুই হবে না।উনি ঘুমাননি ,মাথা নিচু করে ছিলেন।

তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই বলছেন, সংসদে নির্বাচিত সাংসদদের অনেক আশা নিয়ে পাঠান সাধারন মানুষ। ফলে সেখানে গিয়ে যদি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নেওয়া অপেক্ষা তারা নিজেদের শরীর, স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগী হয়ে ওঠেন, তাহলে সাধারণ মানুষের গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা আরও উঠে যেতে শুরু করে। যা রাজনীতির পক্ষে অত্যন্ত অশুভ লক্ষণ বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!