সংসদে কাটমানি নিয়ে সরব হলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ কলকাতা জাতীয় রাজ্য June 26, 2019 এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃনমূলের খারাপ ফলাফলের পেছনে দুর্নীতিই যে প্রধানভাবে দায়ী তা বুঝতে দেরি হয়নি তৃনমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর তাইতো ভরাডুবির পরই দলীয় নেতাদের এই ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি গত 18 জুন নজরুল মঞ্চে দলের কাউন্সিলরদের বৈঠকে কাঠমানি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেউ কাটমানি খেলে তা বরদাস্ত করা হবে না। কোনো রং না দেখে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।” আর মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু হয়। কিন্তু এবার রাজ্যে ঘটে চলা এই কাটমানি নিয়ে এবার মুখ খুললেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সূত্রের খবর, এদিন লোকসভার অধিবেশনের দাঁড়িয়ে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, “বাংলায় একটা নতুন জিনিসের উদ্ভব হয়েছে। সেটা হল কাটমানি। আমরা এর আগে কখনও এমনটা শুনিনি। মুখ্যমন্ত্রী এটা বন্ধের জন্য আইন আনবেন বলছেন। আর এর জন্য নেতা-মন্ত্রীদের ঘরের সামনে জনতা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভেদের রাজনীতি তৈরি করছে বলেও সংসদের অধিবেশনে দাঁড়িয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলায় সরকার আছে। কিন্তু সেখানে আইন নেই। এমনই সোনার বাংলা মুখ্যমন্ত্রী আমাদের উপহার দিয়েছেন।” এদিকে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর সারা দেশে শান্তি বিরাজ করলেও বাংলায় অশান্তি নিয়ে এদিন সংসদে সরব হন দিলীপ ঘোষ। আর এরপরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে ব্যালটে ভোট করার দাবি জানালে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “ইভিএম এ হারলে ব্যালট করার দাবি তুলছেন, আর ব্যালটে হারলে এবার নির্বাচন বন্ধ করে দিতে চাইছেন। মানুষ তার রায় দিয়ে দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখনই ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া উচিত।” এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এর পর ক্ষমতায় আসবে বলেও এদিন সংসদে কৌতুকমূলক বক্তব্য পরিবেশন করেন দিলীপবাবু। তবে তৃণমূলের দাবি, এসব বিভ্রান্তিমূলক কথা বলে দিলীপ ঘোষ কিছুই করতে পারবে না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলার বিভিন্ন অবস্থার কথা তুলে ধরে এদিন সংসদে সোচ্চার হয়ে তৃনমূলকেই চাপে ফেলে দিলেন দিলীপ ঘোষ। আপনার মতামত জানান -