দিলীপ গড়েই ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ! মৃত 3, আশঙ্কাজনক 3, আহত আরও 6, বাড়ছে উত্তেজনা কলকাতা মেদিনীপুর রাজ্য June 19, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই ময়দানে নেমে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির হেভিওয়েট নেতাদের। এদিক থেকে সবথেকে শীর্ষে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্য রাজনীতিতে তিনি শিরোনামে আসার পর থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বেলাগাম মন্তব্য করতে দেখা গেছে তাকে। মাঝেমধ্যে বিতর্কও ছড়িয়েছে তাকে নিয়ে। আর এমতাবস্থায় এবার সেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গড়েই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল। জানা গেছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের কুসুমি গ্রামে তৃণমূল- বিজেপির রাজনৈতিক সংঘর্ষ বাঁধে। যে ঘটনায় ইতিমধ্যে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মূলত প্রধানমন্ত্রীর চিঠি নিয়েই গৃহ সম্পর্ক যাত্রায় বেরিয়েছিল বিজেপির নেতাকর্মীরা। অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় তাদের এই কর্মসূচিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে লাঠি রড দিয়ে হামলা করা হয়। যে ঘটনায় আহত হন ছয় বিজেপি কর্মী। ইতিমধ্যেই তাদের দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় দুজনকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। আর একজনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কলকাতায়। পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে এক বিজেপি কর্মীর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ, এই ঘটনায় তাদের দুই তৃণমূল কর্মী ব্যাপক ভাবে আহত হয়েছেন। তারা বর্তমানে দাঁতন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আর বিজেপি রাজ্য সভাপতি খাসতালুকে এই সংঘর্ষ এবং তার ফলে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু এখন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতাকর্মীদের তৃণমূলের বিরোধীতা করার পথকে আরও নতুন ভাবে খুলে দিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি সমিত কুমার দাস বলেন, “পুলিশের প্রশ্রয়েই আমাদের দলীয় কর্মীদের মারধর করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।” জানা গেছে, আগামী শনিবার বিকেলে মৃত বিজেপি নেতার শবযাত্রায় উপস্থিত থাকবেন দলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির উপর এই আক্রমণের অভিযোগ উঠলেও, তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “তৃণমূল কর্মীদের ওপরেই প্রথমে বিজেপি কর্মীরা হামলা চালিয়েছিল। এরপরই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল কর্মীরা।” সব মিলিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা না বাজলেও দিনকে দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতি। আপনার মতামত জানান -