এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপিকে খুনোখুনি করতে ‘বাধ্য’ করলে তৃণমূলের ‘হাল’ কি হবে জানিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ

বিজেপিকে খুনোখুনি করতে ‘বাধ্য’ করলে তৃণমূলের ‘হাল’ কি হবে জানিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ


ফের রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে শাসকদলের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা গেল। বাঁকুড়া শহরের তামলিবাঁধে আয়োজিত একটি দলীয় জনসভা থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে দেখা গেল তাকে। শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলর তীব্র সামালোচনা করে তিনি বলেন,প্রায় রোজই শাসকদলের গৃহযুদ্ধের কারণে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা খুন হচ্ছেন। তার দোষ চাপানো হচ্ছে বিজেপির দিকে।

বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের যুক্তি দেখানো হচ্ছে। বিজেপির নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন শাসকদলের কেষ্ট-বিষ্টুরা। এসব বলার পর তৃণমূলকে হুঁসিয়ারী দিয়ে বললেন,’বিজেপিকে খুনোখুনি করতে বাধ্য করবেন না। যদি কোনওদিন তা হয়, সেদিন তৃণমূলের খুব খারাপ হবে। পুলিসও শাসক দলকে বাঁচাতে পারবে না।’ এদিনের সভায় দিলীপ বাবুর সঙ্গেই একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি সুভাষ সরকার, বাঁকুড়া জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র, সহ সভাপতি নীলাদ্রি শেখর জানা সহ প্রমুখ বিজেপির প্রভাবশালী নেতৃত্বরা।

মূলত, গেরুয়া শিবিরের দলীয় সংগঠন চাঙ্গা করতেই বাঁকুড়ায় এসেছিলেন দিলীপ ঘোষ। সকালে শহরের একটি ধর্মশালায় দলীয় বৈঠক করার পর বিকালে পাড়ি দেন তমলিবাঁধে। সেখানে জনসভা থেকে সহযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে অন্তর্কলহ মেটানোর বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি শাসকদলকেও এক হাত দিলেন তিনি। বিজেপির জনসভায় ভীড় দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন তিনি।

বললেন,’বাঁকুড়ার বর্তমান সংসদ সদস্যকে এলাকায় দেখা যায় না। উনি সংসদের ভিতরেও তেমনভাবে উপস্থিত থাকেন না। আগামী লোকসভা ভোটের পর বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে বিজেপির সংসদ সদস্য দিল্লিতে পা রাখবেন।’ এটাও জানালেন এদিনের ভীড়ই প্রমান করে দিল বিজেপিকে জেলাবাসী কী পরিমান সমর্থন করছে। ক্ষমতায় এলে তৃণমূলকে এক চুল যায়গাও ছেড়ে দেবে না তৃণমূল,এমনটাই জানালেন তিনি।

হুঁসিয়ারী দিতে তৃণমূলের নেতাদের কটাক্ষ করে ‘ইঞ্চি ও ফুট সাইজ’ করে ব্যাখ্যা করে জানালেন,তৃণমূলের ক্ষমতাশালী নেতা হোক বা পিছনের সারির নেতা,প্রত্যেকের অন্যায়ের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেবে বিজেপি। প্রসঙ্গে টানলেন সিপিএম-কেও।

একসময় যাদের একচ্ছত্র অাধিপত্য ছিল এই বাংলা,সেই বামেদেরই টিকিটি খুঁজে পাওয়া যায় না এ রাজ্যে। সিপিএম নেতারা এখন ইঁদুরের গর্তে ঢুকে গিয়েছে। তৃণমূলের দাপুটে নেতাদের অবস্থাও ওরকম হবে বলে কটাক্ষ করলেন তিনি। অপেক্ষা শুধু লোকসভা ভোটের। ২০১৯’ এর পরই তৃণমূলের উন্নয়ন রাস্তায় শুয়ে পড়বে বলেই আগাম জানিয়ে দিলেন রাজ্যের পদ্মবাহিনীর সেনাপতি।

প্রসঙ্গে শাসকদলের সমালোচনা করে তিনি আরো জানান,যাদের হাতে গণতন্ত্রের মারণযজ্ঞ চলছে রাজ্যে,তারাই রাজ্যে গনতন্ত্র নেই বলে চিৎকার করছে। অভিযোগে জানালেন,দেশের অন্যান্য রাজ্যে গিয়ে তৃণমূল রাজনৈতিক কর্মসূচি স্বাধীনভাবে করছে অথচ এ রাজ্যে বিজেপিকে জনসভা করার অনুমতি দিচ্ছে না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড করতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশের মদত নিয়ে বিজেপির কর্মসূচি ব্যর্থ করা হচ্ছে।

অন্যদিকে,অসম, ত্রিপুরায় কংগ্রেস,সিপিএমের কার্যালয় খোলার লোক পাওয়া যাচ্ছে না বলে ব্যঙ্গ করলেন তিনি। একথা বলার পর তৃনমূলদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন,লোকসভা ভোটের পরই ছবি পাল্টে যাবে রাজ্যের। ২০১৯ সাল থেকেই অধঃপতন শুরু হবে তৃনমূলের। তাঁরা দলীয় কার্যালয় খুলতে সাহস পাবেন না। আর ২০২১-এ পাকাপাকিভাবে তালা পড়বে শাসকদলের দপ্তরে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন জনসভায় যতক্ষণ ছিলেন,এভাবে শাসকদলকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। নিজস্ব স্টাইলেই তোপ দাগলেন রাজ্যসরকারকে। তার বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া এখনো আসনে শাসকশিবির থেকে,এমনটাই জানা গিয়েছে রাজনৈতিক সূত্রের খবরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!