এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রতিহিংসার চরমতম হুমকিতে তৃণমূল কর্মীদের পাশাপাশি রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীকেও ছাড়লেন না দিলীপ ঘোষ

প্রতিহিংসার চরমতম হুমকিতে তৃণমূল কর্মীদের পাশাপাশি রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীকেও ছাড়লেন না দিলীপ ঘোষ

নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল নেতা সত্যজিৎ বিশ্বাস হত্যাকাণ্ডে শাসকদল অভিযোগের আঙুল তুলেছে গেরুয়াশিবিরের দিকে। গত শনিবার সরস্বতী পুজোর রাতে তাঁর খুন হওয়ার পর থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে। লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূলের সংগঠনে আঘাত করতে প্ল্যান করে খুন করা হয়েছে শাসকদলের এই জনপ্রিয় নেতাকে,এমন অভিযোগ তুলে তুলকালাম কাণ্ড বাধিয়ে দিয়েছে জোড়াফুলশিবিরের কর্মী-সমর্থকরা।

এর জেরে রোজই কোনো না কোনোভাবে সত্যজিৎ বিশ্বাস মার্ডার কাণ্ডে বিজেপির নাম জড়াচ্ছে। এর জেরে মেজাজ ধরে রাখতে পারলেন না রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন ববি হাকিম,জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের নাম নিয়ে নিজস্ব স্টাইলে হুঁসিয়ারী দিয়ে দিলেন তিনি। কটাক্ষের সুরে বললেন,সত্যজিতের মতো যুবনেতাকে হারিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো ক্ষতি হয়েছে বলে তাঁর মনে হচ্ছে না। কারণ কোনো প্রমাণ ছাড়াই বিজেপি নেতা-কর্মীদের ফাঁসাতেই নিজেদের দলীয় কর্মীর খুন তৃণমূলই প্ল্যান করেছিল বলে দাবী করেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছে তৃণমূল সরকার। আর দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,এমনটাই অভিযোগ দিলীপ ঘোষের। তবে এই প্রতিহিংসার রাজনীতির পরিমান ভয়ংকর হবে। তৃণমূলকে সেই ভয়াভয় পরিনতির জন্য প্রস্তুত থাকার হুঁসিয়ারী দিয়ে দিলেন তিনি। হুমকি দিয়ে বললেন,’কোনও বিজেপি কর্মীর গায়ে হাত তুললে শুধু নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনাই নয় সারা বাংলায় আগুন জ্বলবে। কাকে প্রতিহিংসা বলে তখন দেখতে পাবে মন্ত্রীরা।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কতবড় নেতা তা দেখতে চেয়ে ওপেন চ্যালেঞ্জ করে ফেললেন দিলীপ বাবু। বললেন,মন্ত্রীর গাড়ি তিনি শুধু রাস্তায় আটকাবেন তাই নয়,জলও খেতে দেবেন না। এরপর হুমকির সুর আরো চড়া করে বলেন,’তৃণমূল কোনও বিজেপি কর্মী-নেতার বাড়িতে আগুন লাগানোর আগে যেন মনে রাখে এবং ভেবেচিন্তে লাগায়। বিজেপি-র সহ্যের সীমা আছে।’ পাশাপাশি সরাসরি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে হুমকি দিয়ে বলেন,’মন্ত্রিত্ব গুটিয়ে নেওয়া হবে এবং জামাকাপড় খুলে নেওয়া হবে।’

তবে রাজ্য বিজেপি সভাপতির এতো কড়া হুমকি মুখ বুঝে সহ্য করেননি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পাল্টা জবাব দিয়ে দিলেন সঙ্গে সঙ্গেই। শালীনতার সীমাকে পাত্তা না দিয়ে দিলীপ বাবুকে ‘অশিক্ষিত, বর্বর, মুর্খ’ বলে তোপ দাগতে দুবার ভাবলেন না তিনি। বললেন,দিলীপ বাবু যদি রাস্তায় নামেন তাহলে জ্যোতিপ্রিয়-র ক্ষমতার আঁচ পাবেন। দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে থানার অভিযোগ দায়ের করার হুঁসিয়ারীও দিয়ে দিলেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা।

উল্লেখ্য,লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ যতোই এগিয়ে আসছে ততোই যেন যুযুধান গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের খেলা জমে উঠেছে। এর জেরে ক্রমশ উত্তাপ পারদ চড়ছে রাজনৈতিকমহলে। এই আবহ লোকসভা ভোটে শেষ হওয়া পর্যন্ত থাকবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!