পিঠের চামড়া গুটিয়ে নুন মাখিয়ে দেব – ফের মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়ালেন দিলীপ ঘোষ রাজ্য October 7, 2018 ফের বিতর্কিত মন্তব্যে জড়ালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। লোকসভা ভোট যতোই এগিয়ে আসছে ততোই যেন তৃণমূল বিরোধীতায় তিনি আরো সক্রিয় হয়ে উঠছেন। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে তৃণমূলকে তাঁর দাপট বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এদিন ইসলামপুর জনসভায় যোগ দিতে নিয়ে স্বমহিমায়ে দেখা গেল রাজ্যের পদ্মবাহিনীর সেনাপতিকে। তৃণমূলকে তোপ দেগে বললেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলেই তৃণমূল পালিয়ে কুল-কিনারা পাবে না। রাস্তা থেকে দৌড়েও পার পাবে না। কেউ জল দিতেও এগিয়ে আসবে না। এরসঙ্গে জুড়েই হুঁসিয়ারী দিয়ে তিনি বলেন,”আমরা বদলা নেবই। পিছন থেকে পুলিস সরে যাওয়ার পর পিঠের চামড়া গুটিয়ে নুন মাখিয়ে দেব। ওষুধ লাগাতে দেব না।” এদিন ইসলামপুর জনসভায় দিলীপ বাবুর পাশাপাশি মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রর জয়প্রকাশ নাড্ডা ও বিজেপির বিভিন্ন হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরা। তবে সফর শেষ হওয়ার আগেই সার্কিট হাউজে বুকিং বাতিল হয়ে যায় বিজেপি নেতাদের। এ নিয়েও অভিযোগে সরব হলেন রাজ্য বিজেপি। তাঁর দাবী,ইচ্ছে করে বিজেপি নেতাদের বিপদে ফেলেতে তৃণমূল এই কাজ করেছে। রাজ্যসরকারের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে তীব্রভাবে গর্জে উঠলেন তিনি। তবে দিলীপ ঘোষের এসব অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বরা। “পাগলের মতো কথা বলছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতো পাগল বা উজুবককে আঘাত বা প্রত্যাঘাতের কথা ভাবে না তৃণমূলের লোকেরা।” এমনটাই দাবী করলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি অরিন্দম সরকার। সঙ্গে জুড়ে আরো জানান তিনি আসলে নিজে এতো বিতর্কিত কথাবার্তা প্রকাশ্যে বলেন,যে ভয়ের চোটে নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি এভাবে সরকারি পয়সা নষ্ট করছেন। চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এটাও বললেন,বিজেপিকে রাজনীতির ময়দানে টেক্কা দিতে তৃণমূল একাই যথেষ্ট তৃণমূল। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে উল্লেখ্য,ইসলামপুর ছাত্রহত্যাকান্ডের পর থেকেই তৃণমূল বনাম বিজেপি কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির খেলা চলছে। যবে থেকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইসলামপুর কান্ডের জন্য বিজেপি এবং আরএসএসকে দায়ী করেছে,তারপর থেকেই বিজেপি যেন ক্ষোভে ফুঁসছে। সুযোগ পেলেই তৃণমূলকে এক হাত শোনাতে ছাড়ছে না। তৃণমূল বিজেপির অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের জেরে উত্তাপের পারদ ক্রমশ চড়া হচ্ছে রাজ্যরাজনীতিতে। আপনার মতামত জানান -