এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তীক্ষ ভাষায় আক্রমণ দিলীপ ঘোষের

রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তীক্ষ ভাষায় আক্রমণ দিলীপ ঘোষের

পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এবার গর্জে উঠতে দেখা গেল রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। সূত্রের খবর বলছে, কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির ৩২ টি আসনের মধ্যে ১৭ টায় জয়ী হয়েছে বিজেপি। আর ১৫ টি আসন দখলে এসেছে তৃণমূলের। বোঝাই যাচ্ছে তৃণমূলকে ছাপিয়ে বোর্ড গঠনের লড়াই এ এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। কিন্তু সমস্যা হল নির্বাচন কমিশন বোর্ড গঠনের দিনক্ষণ ঠিক করেও তা বাতিল করে দেয়।

কারণ হিসাবে সামনে রাখা হয়েছে গন্ডোগোল বাধার সম্ভাবনাকে। নির্বাচন কমিশনের এই হটকারী সিদ্ধান্তের জেরেই বেজায় চটে গেলেন দিলীপ ঘোষ। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি জানান, “আসলে বিজেপিকে বোর্ড গঠন করতে দেওয়া হবে না। আমি বলেছি যত বেশি দেরি করবেন তত বেশি গন্ডগোল হবে। তার জন্য প্রস্তুত থাকুন।” বিজেপি যেখানে সংখ্যাগরিষ্ট তৃণমূল সেখানে কিছুই করতে পারবে না,বিজেপি তা করতে দেবে না,এমনভাবে রাজ্যের শাসকদলকে হুঁসিয়ারী দিলেন রাজ্যের পদ্মবাহিনীর হাইকমান্ডার।

এর সঙ্গে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিও।  জানালেন,নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোট হওয়ার আগে,ভোট হওয়ার সময় এমনকী ভোট হওয়ার পরও পাঠানো হয়েছে বিজেপির প্রতিনিধিদের। কারণ যতক্ষণ না বোর্ড গঠন হচ্ছে ততক্ষণ সমস্ত দায়িত্বই রয়েছে নির্বাচন কমিশনের উপর। অহেতুক কারণবশত বিজেপির জয়ী প্রার্থীদেরকে পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে বিজেপির ২১০০ জন কর্মী-সদস্য বাড়ি থেকে পালিয়েছে। এদের সুরক্ষা প্রদানের জন্যই নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু এ ব্যাপারে গা ঢিলেমি ভাব রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। কমিশনকে ‘বিকলাঙ্গ’ সংস্থা বলেই ব্যাখ্যা করলেন দিলীপ বাবু। বললেন,”কিন্তু, নির্বাচন কমিশন এখানে একটা বিকলাঙ্গ সংস্থা।তার কাছে যাওয়া ও গাছের কাছে দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করা একই বিষয়।” নির্বাচন কমিশনকে তুলোধানা করার প্রসঙ্গেই টানলেন রাজ্য সরকারকেও। বললেন,নির্বাচন কমিশন আসলে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের অঙুলি নির্দেশে চলে। সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা ছিল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। কেসটিতে জিতেছেও রাজ্য সরকার। এরপরই তো বিজয় উৎসবে মেতেছে তৃণমূল। তাঁদের কাছে পার্টি,সরকার,নির্বাচন কমিশন বলো আলাদ কিছু নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!