এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কাটমানি থেকে নিয়োগ দুর্নীতি! এবার দিলীপের বিস্ফোরক অভিযোগ পার্থর শিক্ষাদপ্তরের বিরুদ্ধে

কাটমানি থেকে নিয়োগ দুর্নীতি! এবার দিলীপের বিস্ফোরক অভিযোগ পার্থর শিক্ষাদপ্তরের বিরুদ্ধে


করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয় নিয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হচ্ছে গেরুয়া শিবির। আর এবার শিক্ষা দপ্তরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে বেনজির আক্রমণ করতে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষকে। ‌যেখানে শিক্ষাক্ষেত্রে গুন্ডা ঢুকিয়ে মারপিট করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভিসি নিয়োগ করার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন দিলীপবাবু।

আর বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সূত্রের খবর, এদিন রাজ্যের শিক্ষাদপ্তর এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিরুদ্ধে সরব হয়ে দিলীপবাবু বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আইন আছে, তাতে লেখা আছে, ভিসি যদি রাজনীতিতে যুক্ত হন, তা মুক্ত করতে হবে। কিন্তু যিনি আগে থেকে রাজনীতিতে যুক্ত, তাকে কিভাবে মুক্ত করা যাবে, তা আমাদের মাথায় ঢুকছে না। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাঙ্গাভাঙ্গিতে সেখানকার অধ্যাপকরা যুক্ত। পছন্দমত নিজের মতো লোক নিয়োগ করে কাটমানি খেতে চান।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপরই রাজ্যের শিক্ষা দফতর সম্পর্কে তার হাতে বেশ কিছু তথ্য রয়েছে বলে জানিয়ে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “কেন্দ্র রাজ্যের 4034 টি স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য 395 কোটি টাকা দিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের টাকা ফেরত চলে যাচ্ছে। 5600 টি স্কুলে কম্পিউটার অনুমোদন দেওয়া সত্ত্বেও, তা চালু করা সম্ভব হয়নি। রাজ্যে স্কুলগুলোতে যথেষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাব রয়েছে।” রাজ্যে অনলাইন ভর্তিতেও টাকার খেলা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে রাজ্যের অন্যান্য ইস্যুর পাশাপাশি শিক্ষা দপ্তরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি সহ নানা বিষয়ে সরব হলেন দিলীপ ঘোষ, তাতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অস্বস্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পেল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য পদ নিয়ে রাজ্যপাল বনাম শিক্ষামন্ত্রী বিবাদ চরমে উঠেছিল। যেখানে রাজ্যপালের পক্ষ থেকে একজনকে এই পদের দায়িত্ব দেওয়ার সাথে সাথেই তার চরম বিরোধিতা করতে দেখা যায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে‌।

পরবর্তীতে রাজ্যপালের পক্ষ থেকে বসানো ব্যক্তিকে সরিয়ে দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে পাল্টা অন্য একজনকে বসানো হয়। যা নিয়ে রীতিমত সরব হয় বিরোধীরা। আর এবার রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয় তুলে ধরে যেভাবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তার দপ্তরকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, তাতে রাজ্য সরকার চাপে পড়ল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!