করোনা বাঁচাতে মাত্র ২০০ কোটি, আর ভোট কিনতে ক্লাবকে ১৩০০ কোটি! মমতাকে আবারও আক্রমণ দিলীপের! কলকাতা রাজ্য May 15, 2020 এবার করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের বরাদ্দ অর্থের সঙ্গে ক্লাবগুলোকে বরাদ্দ অর্থের তুলনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বর্তমানে করোনা মহামারী যখন ভয়াবহ আকার নিয়েছে, ঠিক তখনই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য এখন রীতিমতো শোরগোল তুলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। কিন্তু ঠিক কি এমন মন্তব্য করেছেন দিলীপবাবু? বস্তুত, প্রথম থেকেই করোনা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার ব্যর্থ বলে দাবি করে আসছে বঙ্গ বিজেপি। শুধু তাই নয়, সরকারের পক্ষ থেকে করোনায় প্রকৃত আক্রান্ত এবং মৃত্যুসংখ্যা লুকোনো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে। আর এমতাবস্তায় পাল্টা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে সরব হওয়ার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে বাংলার মানুষ। যার জেরে করোনাকে মোকাবিলা করা তো দূর অস্ত, উল্টে দুই সরকারেরই তরজা দেখে রীতিমতো হতাশ হয়েছেন সকলেই। এই পরিস্থিতিতে এবার কেন্দ্রীয় সরকারকে যখন কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যেখানে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তার থেকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কি কি সুবিধা দিয়েছেন! অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসা দিতে পারছেন না। 200 কোটি বলেছিলেন করোনার জন্য খরচ করবেন। অথচ 1300 কোটি টাকা খরচ করেছেন ক্লাবকে দিয়ে ভোট কেনার জন্য। শ্রমিকরা ফিরছেন কিন্তু তাদের জন্য 15 শতাংশ টাকা মুখ্যমন্ত্রী দিচ্ছেন না।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্লাবগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে টাকা দেওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা হয়েছিল। আর এবার ভয়াবহ করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যখন 200 কোটি টাকা তহবিলের কথা ঘোষণা করা হয়েছে, ঠিক তখনই ক্লাবগুলোকে টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলে দিলেন দিলীপবাবু বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর টাকা চাওয়া নিয়েও তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “উনি টাকা চাইছেন, কিন্তু খরচের হিসাব দিচ্ছেন না। টাকা চাইবেন কিন্তু হিসেবে দেবেন না, তা তো হতে পারে না। মোদি সরকার ঠিক করেছে সরাসরি ডিএমদের হাতে টাকা যাবে। একেবারে পিএম টু ডিএম। সেটা যেমন 100 দিনের কাজে হয়েছে, তেমন অন্য সরকারি প্রজেক্টেও হয়েছে। মিড ডে মিলেও সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। কেন্দ্রের টাকা যদি রাজ্য সরকারের হাতে না আসে, তাহলে পার্টি কাটমানি পায় না।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিলীপবাবু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারের করোনা মোকাবিলা নিয়ে যেমন প্রশ্ন তুললেন, ঠিক তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে করোনায় কম এবং ক্লাবগুলোকে বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে বলে তোষণের রাজনীতি করার অভিযোগ তুললেন। যা রাজ্য সরকারকে বর্তমান সময়ে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ফেলে দিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -