দিলীপ ঘোষের মুখে “বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই” – কারণ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দল কলকাতা জাতীয় রাজ্য January 6, 2019 রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রায় সর্বত্রই বিষোদগার করতে দেখা যেত যে মানুষটিকে সেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখেই গতকাল তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী রূপে দেখতে চাওয়ার কথায় তীব্র জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। যা নিয়ে তীব্র শঙ্কায় ভুগছেন বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তর মুরলীধর লেনের কর্তারাও। কেননা এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই রাজ্যের শাসক দল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন বিজেপির এই রাজ্য সভাপতি। কখনো গর্তের ভেতরে শাসক দলের কর্মী-সমর্থকদের ঢুকিয়ে দেওয়া হবে তো কখনও ক্ষমতায় এলে তৃণমূলকে ছেড়ে কথা বলবেন না বলে শাসকদলের উদ্দেশ্যে হুমকি ছেড়েছিলেন দিলীপবাবু। আর সেই দিলীপ ঘোষের মুখেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী রূপে দেখতে চাওয়ার মন্তব্যে নানা মহলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত, গতকাল এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিনের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি চাই, উনি সুস্থ থাকুন। কারণ ওনার সুস্থতার ওপর বাংলার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। তাই বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হলে ওনার নামই একদম শীর্ষে রয়েছে।” কিন্তু হঠাৎ কেন এই বাঙালি প্রধানমন্ত্রীর জল্পনা উসকে দিলেন দিলীপবাবু? কেননা যখন রাজ্য তথা দেশের সর্বত্র বিজেপি দাবি করছে যে, ফের 2019 ক্ষমতায় আসতে চলেছে তাঁরা, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী রুপে দেখার ইচ্ছে বিজেপির রাজ্য সভাপতির গলায় উঠে আসায় অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবিরও। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে বিজেপির তরফে একাংশ যারা বরাবরই দিলীপ ঘোষের বিপক্ষে তারা দাবি করছে যে, কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে যে এডুকেশনাল কোয়ালিফিকেশন যেটা নির্বাচনে লড়ার সময় দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন তার প্রমাণপত্র জমা দিতে, যদি জমা দিতে না পারেন তবে মিথ্যা তথ্য দেবার অপরাধে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে। শাস্তিস্বরূপ বিধায়ক পদ খারিজ, জরিমানা ,এমনকি কারাবাস ও হতে পারে। তাই তিনি এই বিপদ থেকে বাঁচতে প্রবল বিরোধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুনগান গাইতে শুরু করেছেন বলে মনে করছে গেরুয়া শিবিরের একাংশ। তবে দীলিপ বাবুর অনুগামীদের অবশ্য দাবি যে, দিলীপ ঘোষ কোনো মিথ্যা তথ্য দেননি। সব প্রমাণপত্র জমা দেবেন। ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হোক’ – এই কথাটি তিনি তৃণমূলের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করেই বলেছেন। কেননা তৃণমূল যত যাই করুন না কেন ৪২ এর ৪২ তা আসন কিছুতেই পাবে না। আর যত যাই হোক তর্কের খাতিরে যদি মেনেও নেওয়া হয় যে তৃণমূল ৪২ টা জিতল তাতেও কি করে কি করে প্রধানমন্ত্রী হবেন উনি? কংগ্রেস গোটা দেশ থেকে কোনো আসন পাবে না ? আর কংগ্রেসকে ছেড়ে সবাই দিদির সঙ্গে নেবে? এগুলো ভ্রান্ত ধারণা। মহাজোট বলে কিছু হবে না। সেই কথাকেই কঠাক্ষ করেছেন দিলীপবাবু। অন্য কিছু নয়। সব মিলিয়ে এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী চাওয়ার কথায় দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গেল কলকাতার মুরলীধর লেন। আপনার মতামত জানান -