এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হঠাৎ করেই দলীয় কর্মসূচি বাতিলের নির্দেশ দিলীপ ঘোষের, কারণ নিয়ে শুরু তীব্র চর্চা

হঠাৎ করেই দলীয় কর্মসূচি বাতিলের নির্দেশ দিলীপ ঘোষের, কারণ নিয়ে শুরু তীব্র চর্চা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেকদিন ধরেই লকডাউন চলেছে। যার ফলে কোনোরকম জমায়েত করা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ছিল। তবে বর্তমানে নকডাউন চললেও, তা অনেকটাই শিথিল হয়েছে। যার পরেই আইনগতভাবে এই জমায়েত করার কথা বলা না হলেও, গুটিকয়েক কর্মী-সমর্থক নিয়ে বিজেপি রাস্তায় নামতে শুরু করেছিল। ভার্চুয়াল সভা হোক বা প্রধানমন্ত্রী গৃহ অভিযান, নানা কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের কাছে যেতে শুরু করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি।

তবে আইনে জমায়েত করার কথা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও, কেন এভাবে রাস্তায় নামা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি তৃণমূলের সবথেকে বড় কর্মসূচি একুশে জুলাই এবার করা হবে না বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালে, কেন অন্য দল বারবার রাস্তায় নামছে, সেই ব্যাপারে প্রশ্ন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এমত পরিস্থিতিতে করোনা সর্তকতাকে হাতিয়ার করে দলের যুব সংগঠনকে পথে নেমে আপাতত কোনো কর্মসূচি করতে নিষেধ করে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তারপরেই বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করেও, তা বাতিল করে দিতে হয় যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই বিজেপি রাজ্য দপ্তরের অফিসে নেতাকর্মীদের আসা-যাওয়ায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে। কেননা রাজ্য দপ্তরের পাশেই একটি বাড়িতে করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। ফলে সেখানে বেশি পরিমাণে লোকজন যাতায়াত করলে পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তাই এমতাবস্থায় করোনার প্রভাব যখন দ্রুত বাড়ছে, ঠিক তখনই রাস্তায় নেমে যাতে কোনো কর্মসূচি করা না হয়, তার জন্য দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

কেননা পরবর্তীতে করোনা বৃদ্ধির জন্য যাতে তাদেরকে শাসকদলের পক্ষ থেকে দায়ী করতে না পারে, তার জন্যই দিলীপবাবু আগাম কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়ে রাখলেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অনেকে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবথেকে বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি একুশে জুলাই কিভাবে হবে, তা কেউ জানেন না। দলীয় স্তর এই ব্যাপারে বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কর্মসূচি বাতিল করেন, তাহলে তিনি দাবী করবেন যে, মানুষের স্বার্থে তিনি তার সব থেকে বড় কর্মসূচি বাতিল করলেন। সে দিক থেকে বিজেপিও যে তাদের নেতাকর্মীদের এখন ময়দানে না নামতে দিয়ে পরবর্তীতে দাবি করবে যে, তারাও মানুষের জন্য তাদের সমস্ত কর্মসূচি বন্ধ রেখেছিল, তা কার্যত পরিষ্কার সকলের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!