পার্শ্ব শিক্ষকদের অনশন মঞ্চ থেকে দিলীপের তোপ – পার্থবাবু যেন কাটমানি না খান কলকাতা রাজ্য November 17, 2019 গত পাঁচ দিন ধরে সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে পার্শ্ব শিক্ষকদের অনশন চলছে। যে ঘটনা রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে অশনিসংকেত বহন করে আনলেও এই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না রাজ্য সরকারকে। যা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় 40 জন শিক্ষক শিক্ষিকা অনশনে বসে রয়েছেন। রাজ্য যদি তাদেরকে সদর্থক কোনো বার্তা না দেয়, তাহলে তারা আমৃত্যু এই অনশন চালাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। আর যত দিন যাচ্ছে, ততই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে পার্শ্বশিক্ষকদের পাশে না দাঁড়ালেও সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে সেই অনশন মঞ্চে উপস্থিত থাকতে দেখা যাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের। সূত্রের খবর, এদিন অনশন মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল আক্রমণ শানান তিনি। যেখানে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “চাকরি চাইলে সরকার লাঠিপেটা করছে। কর্মীরা ডিএ পাচ্ছে না। চাকরিও দিতে পারছে না। আমরা আপনাদের সঙ্গে সব সময় রয়েছি।” আর এরপরই নজিরবিহীনভাবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার পার্শ্বশিক্ষকদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে। পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতনের যে 60% কেন্দ্র দেয়, তা থেকে পার্থবাবু যেন কাটমানি না খান।” আর দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যেই এখন ছড়িয়ে পড়েছে জল্পনা। জানা গেছে, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার যৌথভাবে এই পার্শ্বশিক্ষকদের সাম্মানিক বেতন দেয়। যার অনুবাদ 60:40। তবে অবসর নেওয়ার পর তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। পাশাপাশি যে অনুপাতে তাদের টাকা দেওয়ার কথা, তার থেকে তারা কম টাকা পাচ্ছেন বলেও খবর। আর এরকমই একগুচ্ছ অভিযোগ জানিয়ে পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই অনশন শুরু করেছেন। আর এবার সেই অনশন মঞ্চে গিয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের টাকা থেকে যাতে শিক্ষামন্ত্রী ভাগ না বসান, সেই ব্যাপারে মন্তব্য করে রাজ্যের শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। আর দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যে এখন রাজ্য রাজনীতিতে শাসক বনাম বিরোধী তরজাকে ঠিক কতটা বাড়িয়ে দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। পাশাপাশি পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই সমাধানে সরকার আদৌ হস্তক্ষেপ করে কিনা! সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছেন অনেকে। আপনার মতামত জানান -