এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আবার দিলীপ ঘোষকে ঘিরে কালোপতাকা ও গো- ব্যাক স্লোগান – ধুন্ধুমার বর্ধমানে

আবার দিলীপ ঘোষকে ঘিরে কালোপতাকা ও গো- ব্যাক স্লোগান – ধুন্ধুমার বর্ধমানে

রাজ্য বিজেপির সভাপতি হিসেবে দিলীপ ঘোষ দায়িত্ব পাওয়ার পরই রাজ্যে বিজেপির প্রভাব অনেকটাই বাড়তে শুরু করেছে। যার ফলে 2016 বিধানসভা নির্বাচন এবং সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় অভূতপূর্ব ফলাফল করেছে। আর যার নেতৃত্বে ঘাসফুলকে কিছুটা রুখে দিয়ে পদ্মফুলের এই অভূতপূর্ব ফলাফল হয়েছে, সেই দিলীপ ঘোষের প্রতি বিভিন্ন জায়গায় রাজ্যের শাসক দল হামলা করছে বলে খবরের শিরোনামে উঠে আসতে শুরু করেছিল।

কখনও পাহাড় তো কখনও সুন্দরবন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ হোক বা জনসভা, বিরোধীদের প্রতি শাসকদলের অত্যাচার বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন কিছু নয়। আর এবার ফের দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষকে।

সূত্রের খবর, শুক্রবার লেকটাউনের দক্ষিণ দাঁড়িতে চায়ে পে চর্চায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। আর শুক্রবারের পর শনিবার বর্ধমানের তিনকোনিয়া চত্বরে গুডসশেড রোডে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অভিযোগ, সভাস্থলে ঢোকার মুখেই দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করে কালো পতাকা এবং গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকে তৃণমূল কর্মীরা। এমনকি দীলিপবাবু বেরোনোর সময় তাকে কালো পতাকা দেখিয়ে তার গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এইভাবে প্রতি মুহূর্তে তাকে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে কেন!

এদিন এই প্রসঙ্গে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “নারদা, সারদা নিয়ে সিবিআই যত সক্রিয় হচ্ছে, বিজেপি নেতা কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ততই বাড়ছে। ওরা ওদের কাজ করছে। চাইলে আমি দু চারজন ছেলে পাঠাতে পারতাম। ওরাই ওদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দিত। কিন্তু আমি চাই না, ওরা হাসপাতালে যাক।”

এদিকে লেকটাউনে চায়ে পে চর্চায় তার উপরে আক্রমণ নেমে আসা প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “আমি দুজন মন্ত্রীর বক্তব্য শুনলাম। ওনারা বলছেন, ওটা নাকি স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ ছিল! সুজিত বসু যদি চান তাহলে ওনার সল্টলেকে আমি স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ দেখাতে পারি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক চাইলেও আমরা ওনার এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে পারি। আমরা লোকসভা নির্বাচনে দেখিয়েছি। বাকিটা দেখার অপেক্ষায় থাকুন।”

এদিকে বাংলাদেশী হিন্দুরা এই দেশের নাগরিকত্ব পাবেন। কিন্তু বাংলাদেশি মুসলমানরা ভারতে ঢুকে বসে থাকলেও তাদের ভারতে থাকার কোনো অনুমতি নেই বলে এনআরসি প্রসঙ্গেও এদিন জানিয়ে দেন দিলীপ ঘোষ। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি হোক বা জনসংযোগ, বিভিন্ন জায়গায় তাদের কর্মসূচিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়ার সৃষ্টি হলে তারাও যে ছেড়ে কথা বলবেন না, তা কার্যত নিজের বক্তব্যে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!