এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছেন, সাংবিধানিক কাঠামো নষ্ট করছেন – মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ দিলীপ ঘোষের

মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছেন, সাংবিধানিক কাঠামো নষ্ট করছেন – মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ দিলীপ ঘোষের

এবার মিডিয়ার সামনেই প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গতকাল দলের সদর কার্যালয় থেকেই এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সুর চড়া করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে গোটা দেশের কৃষকদের কল্যাণে ফসল বিমা যোজনা চালু হয়েছে। এই প্রকল্পে কেন্দ্র এবং রাজ্যের বরাদ্দকৃত খরচের অনুপাত ৫০% করে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী রটিয়ে বেড়াচ্ছেন এই প্রকল্পে কেন্দ্র সরকার ২০% করে টাকা দিচ্ছে এবং বাকি ৮০% টাকা নাকি রাজ্যের কোষাগার থেকে দেওয়া হচ্ছে। এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বলেই প্রকাশ্যে দাবী করলেন রাজ্য বিজেপি সুপ্রিমো।

এখানেই শেষ নয়,পাশাপাশি রাজ্যের কৃষকদের প্রতি একাধিক বঞ্চনার অভিযোগও তুলে মমতা সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন। প্রসঙ্গে দাবী করেন,কেন্দ্রীয় সরকার কুইন্ট্যাল প্রতি ধানের সহায়ক মূল্য (এমএসপি) নির্ধারণ করেন ১৭৫০ টাকা। কিন্তু রাজ্যের কৃষকরা সেই অনুযায়ী ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। ফলত উপায় না পেয়ে ফঁড়েদের কাছে ১২০০ টাকা কুইন্ট্যাল দরে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষীরা।

ফঁড়েরাজ যে সম্প্রতি রাজ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে রাজ্যে একথা খোদ মুখ্যমন্ত্রীও স্বীকার করে নিয়েছেন।তাঁর এই স্বীকারোক্তিই প্রমাণ যে রাজ্যে ফঁড়েরাজ রুখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যর্থ। আর সেজন্যে রাজ্যের কৃষকরা যে দুর্দশাগ্রস্ত হবেন এটাও খুব স্বাভাবিক,এমনটাই দাবী করলেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি এটাও জানালেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কখনোই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চাষীদের বঞ্চনার অভিযোগ তোলা উচিৎ নয়,কারণ তিনি নিজেই রাজ্যের চাষীদের দুর্দশার মূল কারণ।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপি সভাপতি আরো জানান, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সাংবিধানিক কাঠামো নষ্ট করেছেন। দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীদের কোনো বৈঠকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যায় না। এমনকি বাংলার মুখ্যসচিবকে দিল্লির বৈঠকে যোগ দিতে দেওয়া হয় না। শুধুমাত্র রাজ্যের অর্থমন্ত্রীকেই কেন্দ্রীয় সরকারের বৈঠকে যোগ দিতে দেখা যায়। কিন্তু বৈঠকে তিনি যা বলেন, রাজ্যে এসে তার উল্টোটাই ভাষণ দেন। বিজেপি সরকারের প্রশংসা করে দিলীপ বাবু বলেন,নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর বাংলার জন্যে আর্থিক সহায়তা বাড়িয়ে দিয়েছেন।

আগের সরকার বাংলাকে মাত্র ৩২% আর্থিক সহায়তা করত। কিন্তু মোদী সরকার এক ধাক্কায় ১০% বাড়িয়ে ৪২% করে দিয়েছে৷ তবুও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরোধীতা করেন আর আশা করে বসে থাকেন কেন্দ্র সর্বদা বাংলার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে!

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন,একইভাবে বিধানসভায় বাম বিধায়ক তথা শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্যও দফায় দফার রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে ওই কর্পোরেশনের সঙ্গে বৈমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ তোলেন।

পাশাপাশি এ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা (পিএমজিএসওয়াই) প্রকল্পের নাম বদলে রাজ্যসরকারের নাম দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাপক সমালোচনা করেন দিলীপ ঘোষ। অভিযোগে জানান, গোটা দেশেই সড়ক নির্মাণ সংক্রান্ত এই প্রকল্পের কাজ চলছে। বহু রাজ্যেই বিজেপি বিরোধী সরকার রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য কোনো রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের নাম বদলানো হয়নি। এধরণের লজ্জাজনক কাজের জন্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি।

উল্লেখ্য,লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ যতোই এগিয়ে আসছে ততোই রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে মারমুখী হয়ে উঠেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। একাধিক ইস্যু তুলে রাজ্যসরকারকে তুলোধনা করার একটা সুযোগ হাতছাড়া করছেন না তিনি। এর জেরে সম্প্রতি কয়েকবার মন্তব্য বিতর্কে তাঁর নাম জড়ালেও দিলীপ ঘোষ রয়েছেন নিজেরই মেজাজে। চাঁচাছোলা ভাষায় তৃণমূলকে আক্রমণ করতে শালীনতার সীমাকেও মানছেন না তিনি। লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে রাজ্য বিজেপি সভাপতির এই তৃণমূলবিরোধী আক্রমণাত্মক রূপ দফায় দফায় দেখা যাবে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!