এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলায় করোনা টেস্ট কিটের মধ্যেও কি কাটমানির গল্প? বিস্ফোরক অভিযোগে শোরগোল ফেললেন দিলীপ ঘোষ

বাংলায় করোনা টেস্ট কিটের মধ্যেও কি কাটমানির গল্প? বিস্ফোরক অভিযোগে শোরগোল ফেললেন দিলীপ ঘোষ

করোনা ভাইরাস এর ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও। ইতিমধ্যে করোনার সংক্রমণ আটকানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, কিন্তু তা সত্বেও উঠেছে বিতর্ক। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যানের গরমিল নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তার মধ্যেই শুরু হয়েছে নতুন করে টেস্ট কিট বিতর্ক।

বিরোধীদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে টেস্ট কিট থাকা সত্বেও পরীক্ষা হচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি শাসক দলের প্রতি কাটমানি খাবার অভিযোগ তুলে বলেছেন, ‘এখানেও অনেক কোম্পানি করোনা কিট তৈরি করে। কিন্তু কেন একটি কোম্পানিকেই কিট তৈরির বরাত দেওয়া হচ্ছে। এখানেও কি কাটমানির গল্প?’

অন্যদিকে রাজ্য সরকার বরাবরই অভিযোগ জানিয়ে আসছে কেন্দ্র থেকে সাহায্য করা হচ্ছে না। এদিন সেই অভিযোগের উত্তর দিয়ে দিলীপ ঘোষ পাল্টা অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে করোনা রোগীর সংখ্যা কম করে দেখানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে করোনা টেস্ট হচ্ছেনা এ রাজ্যে। সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন ‘করোনা পরীক্ষার জন্য কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪২,৫০০ কিট এসেছে। তার মধ্যে পরীক্ষা হয়েছে মাত্র ৩,০০০ জনের। এই বিশাল পার্থক্য হচ্ছে কেন? সত্য গোপন করার জন্য?’

এদিন দিলীপ ঘোষ পরিসংখ্যানগত গরমিলের অভিযোগ তুলে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বলছে পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫২ জন। রাজ্য সরকার বলছে ১১০ জন। এই ৪০ জনের ফারাক হচ্ছে কেন? এই ফারাক আবার দিন দিন বাড়ছে।’ গত সোমবার নাইসেডের নির্দেশক শান্তা দত্ত সংবাদমাধ্যমে যে বক্তব্য জানিয়েছেন, সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন দিলীপ ঘোষ পাল্টা বলেন- ‘এই রাজ্য কোন টেস্ট হচ্ছে না। নাইসেড যা বলছে তাতে মানুষের মনে ভয় হচ্ছে। রাজ্য সরকার এটা নিয়ে ভাবুক।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার সঠিক তথ্য চাইছে। হাওয়াই চপ্পল পরে ডাক্তার কাজ করছে। এটা ভাবা যায় না।’ অন্যদিকে তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রের টাকা রাজ্য সরকার খরচ করছে না। প্রশ্ন তুলেছেন তিনি, কেন এই ঘটনা ঘটছে? সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লকডাউন এর মধ্যেই ফুলবাজার খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এই সিদ্ধান্ত ঘিরে অনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছে। আবারো সেই বিতর্ক উস্কে দিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্য সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন।

তিনি এদিন বলেন, ‘ কেন ফুলের বাজার খোলা হল? এই রাজ্যে কোথায় টেস্ট হচ্ছে? সাধারণ মানুষ জানে না। কিট কেন দেওয়া হচ্ছে না?’ পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ‘হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।’ রাজ্য সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি আরো বলেন, ‘রাজ্য সরকারের হেল্পলাইনে ফোন করলে কেউ ফোন তোলেন না। বিজেপি লোকদের ত্রাণ নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে । ত্রাণ দিতে দেওয়া হচ্ছে না। জেলাশাসক ফোন ধরছে না। হাসপাতালে বিক্ষোভ হচ্ছে। কার্ড দেওয়া হচ্ছে না।’

অন্যদিকে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাঁদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, পশ্চিমবঙ্গে লকডাউনের নিয়মকানুন মানা হচ্ছেনা। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের উদাসীনতা নিয়ে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। করোনার সংক্রমণ এড়াতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় দফার লকডাউন ঘোষণা করেছেন গতকাল। বর্তমান লকডাউনেরর সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী 3 রা মে।

তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ দেশে এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে, যা মারাত্মক। এই পরিস্থিতে যদি কোনরকম আক্রান্তের তথ্য লুকানো হয়, তাহলে পরিস্থিতি হয়ে উঠবে রীতিমত ভয়ংকর। অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণের প্রথম দিকে – রাজনীতির রঙ ভুলে সকলকে এক হয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু, যতদিন যাচ্ছে, ততই তীব্র হচ্ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এমনকি এবার তো করোনা টেস্ট কিটের মধ্যে ‘কাটমানির’ তত্ত্ব নিয়ে এসে তা আরও তীব্র করে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!