এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুকুল-মির্জা মুখোমুখি জেরার আগে জল্পনা বাড়িয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ – জানুন বিস্তারিত

মুকুল-মির্জা মুখোমুখি জেরার আগে জল্পনা বাড়িয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ – জানুন বিস্তারিত


এতদিন সারদা-রোজভ্যালির মত চিটফান্ড কান্ডগুলিকে নিয়ে সরগরম ছিল রাজ্য-রাজনীতি। তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা এই সব আর্থিক কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। কিন্তু, সে জায়গায় নারদ স্টিং অপারেশন নিয়ে বহু জল্পনা চললেও – তা যেন কিছুটা পিছনের সারিতেই ছিল। কিন্তু, এবার নারদ কাণ্ডে পুলিশ অধিকর্তা মির্জাকে সিবিআই গ্রেপ্তার করতেই – যেন নতুন করে হওয়া লেগেছে ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফাঁস হওয়া এই চাঞ্চল্যকর কান্ড নিয়ে।

বিশেষ করে, মির্জাকে গ্রেপ্তারের পরেই অধুনা বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে সিবিআই ডেকে পাঠানোর পর। রাজ্য-রাজনীতিতে তীব্র জল্পনা এবার পুলিশ অফিসার মির্জা ও বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারে সিবিআই। মুকুল রায়ের বিরোধীরা বরাবরই দাবি করে থাকেন, তিনি নাকি সারদা-নারদ কান্ড থেকে ‘বাঁচার’ জন্যই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু, মুকুলবাবু নিজে দাবি করে এসেছেন, তিনি কোনো রকম আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত নন, তদন্তে সিবিআইকে সব রকমের সাহায্য করবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু, ঘটনা যাই হোক, বিজেপিতে যোগ দিলেও যে সিবিআইয়ের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না, তা মির্জাকে গ্রেপ্তারের পরেই মুকুলবাবুকে ডেকে পাঠানোতেই পরিষ্কার। আর উত্তাপ বাড়ানো এই ‘মেগা-ইভেন্টের’ আগে কার্যত জল্পনা আরও উস্কে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দিলীপবাবু জানিয়েছেন, মুকুল রায়ের কাছে নারদ-কাণ্ডের বহু তথ্য আছে, উনি সব বলবেন। সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েই তিনি বলবেন সমস্ত কিছু।

একই সাথে এই সব আর্থিক কেলেঙ্কারিতে মুকুল রায়ের মত বিজেপি নেতার সিবিআইয়ের নোটিশ পাওয়া প্রসঙ্গে দিলীপবাবু ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মুকুল রায়কে তলব করায় দলের ভাবমূর্তি কোনও ক্ষুণ্ণ হবে না। ভাবমূর্তি নতুন করে আর কী ক্ষুণ্ণ হবে? সিবিআই যাঁদের ডাকছে, তাঁদের আগেও ডেকেছে, এখনও ডেকেছে। সবারই সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়া উচিত। উচিত সব তথ্য সামনে আসা। তাহলেই দুধ কা দুধ, পানি কা পানি – সব তথ্য সামনে আসা উচিত।

রাজ্য-রাজনীতির বিভিন্ন মহলে জল্পনা পুলিশ কর্তা মির্জা নাকি তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকন্ড-ইন-কম্যান্ড মুকুল রায়ের নির্দেশেই টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু, মুকুলবাবু নিজে জানিয়েছেন – তিনি নিজে তো কোনো টাকা নেনই নি, এমনকি পুলিশ কর্তা মীর্জাকেও টাকা নিতে নির্দেশ দেন নি। ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েল মুকুলবাবুর কাছে বর্ধমানে গিয়ে ব্যবসা করার কথা জানালে তিনি তাঁকে মির্জার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। কেননা ব্যবসার জন্য জমি লাগবে, আর সেই জমি পেতে বর্ধমানের তৎকালীন পুলিশ সুপার মির্জার সাহায্য লাগতে পারে। কিন্তু, এর মাঝেই দিলীপবাবুর এহেন মন্তব্য – জল্পনা আরও বাড়াচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!