ফের মন্তব্য, ফের বিতর্ক, খবরের শিরোনাম থেকে সরছেন না রাজ্য বিজেপির সভাপতি রাজ্য January 20, 2020 বঙ্গ রাজনীতিতে অশালীন মন্তব্য করে একের পর এক ব্যাটিং করে চলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ভোটবাক্সে ব্যাটিং করলে তাকে দক্ষ সংগঠক বলা যায়। কিন্তু যেভাবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধীদলের নেতা, মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে শালীনতার মাত্রা ছাড়ালেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি, তা নিঃসন্দেহে বিজেপি তথা দিলীপ ঘোষকে বেশি করে কালিমালিপ্ত করছে বলেই মনে করছেন একাংশ। বস্তুত, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর তরজা সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বনাম কেন্দ্রের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যে। প্রথম দিন থেকেই এই আইন বাতিলের দাবিতে কেউ কোনো কাগজ দেখাবেন না বলে জেহাদ ঘোষণা করেছেন তৃনমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পাল্টা তাকে খোচা দিয়েছে গোটা বিজেপি পরিবার। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন জিহাদ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরেই অশালীন আক্রমণ করেছিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে সমালোচকদের আক্রমণের মুখে পড়ায় দীলিপবাবু সেই অশালীন আক্রমণ থেকে সরে আসবেন বলে মনে করেছিল একাংশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু না, এবার নন্দীগ্রামে নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে অভিনন্দন যাত্রা করে এক সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশালীন আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ। সূত্রের খবর, এদিন পুলিশের বাধাকে উপেক্ষা করে নন্দীগ্রামে সভা করে বিজেপি। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশের বিজেপিকে ধরাই কাজ। বিজেপি দেখলেই শুধু ধরে।” আর এরপরই নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আইন পাস হচ্ছে। লাগু হচ্ছে। উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে। এতে দিদিমনির কষ্ট হচ্ছে কেন! ওনারা কাগজ দেখাতে বারণ করছেন, কদিন পর ওনারা মুখ দেখাতে পারবেন না। কাগজ তো দেখাতেই হবে। সেইসঙ্গে রাজ্যে যা কিছু হচ্ছে, সব কিছুর জবাব দিতে হবে।” আর রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে আক্রমণ করতে গিয়ে তিনি দুদিন পর মুখ দেখাতে পারবেন না বলে যে মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ, তা নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন বলেই মনে করছে একাংশ। রাজনীতিতে আক্রমণ থাকবে, কিন্তু তাই বলে কেন শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি! তা নিয়ে নানা মহলে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এখন গোটা পরিস্থিতি ঠিক কোনদিকে মোড় নেয়! সেদিকেই নজর সকলের। আপনার মতামত জানান -