এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিলীপ ঘোষের হাত ধরে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার ছেলে বিজেপিতে যোগ দিতেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি

দিলীপ ঘোষের হাত ধরে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার ছেলে বিজেপিতে যোগ দিতেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি

আজ কে তৃণমূলে, আর কালকেই বা কে বিজেপিতে! তা এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন বঙ্গ রাজনীতিতে। লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক শুরু হয়েছে। তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা, বিধায়ক, কাউন্সিলর এবং দলীয় কর্মীরা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন। যার ফলে শাসকদলের একাধিপত্যে কিছুটা হলেও ভাঙন ধরাতে শুরু করেছে বিজেপি।

তবে মাঝে রাজ্যের অনেক হেভিওয়েট নেতা বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হলেও তার সেই যোগদানের প্রক্রিয়া স্তব্ধ হয়েছিল। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার ছেলের বিজেপিতে যোগদান রাজ্য রাজনীতিতে প্রবল জল্পনা বাড়িয়ে দিল।

সূত্রের খবর, রবিবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচমাথা মোড়ে বিজেপির এক সভায় উপস্থিত হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় শতপথী। আর এরপরই সেই সন্ধ্যাতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তৃণমূল নেতা তথা পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান দুর্গেশ মল্লদেবের ছেলে বিক্রম মল্লদেব গেরুয়া শিবিরের পতাকা নিজের হাতে তুলে নেন। আর এই ঘটনাই এখন তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

কেন হঠাৎ তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার ছেলে বিজেপিতে যোগদান করলেন! এদিন এই প্রসঙ্গে সেই বিক্রম মল্লদেব বলেন, “আমি খুব সৌভাগ্যবান যে দিলীপদার হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছি। আমি খুশি হয়েছি ভালো পার্টিতে যোগদান করতে পেরে। ভাল রাজনীতি শিখতে পারব। আশা করছি, এখন যেরকম ভ্রষ্টাচার চলছে, তা সাফ করে দিতে পারব। প্রত্যেকটা জায়গায় তৃণমূলের নিচুতলার যে ভ্রষ্টাচার হয়েছে, এটা পরিষ্কার না করলে কোনদিনই উন্নতি হবে না। মানুষ যদি নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য রাজনীতি করে, তাহলে কোনো উন্নয়ন হবে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে দুর্গেশ মল্লদেবের ছেলে বিক্রম মল্লদেব বিজেপিতে যোগদান করায় তার পরিবারের মধ্যেও ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে। এদিন ছেলের এই দলবদলের কথা শুনেই দুর্গেশবাবু বলেন, “আমি ছেলেকে বাড়িতে থাকতে দেব না। ওকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে হবে।” অন্যদিকে বাবার মুখ থেকে এই কথা শুনে পাল্টা তার উত্তর দেন ছেলে বিক্রম মল্লদেব। তিনি বলেন, “বাবা বের করে দিলে আমি বাইরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকব।” অর্থাৎ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন যে, দলবদলের সাথে সাথে হয়ত বা এই পরিবারে ফাটল দেখা দিতে শুরু করল।

এদিকে এদিন ঝাড়গ্রামের পাঁচমাথা মোড়ে দলীয় সভায় উপস্থিত হয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “আমরা এখনও হাত তুলিনি। আর তাতেই তৃণমূলের বাড়ি ঘর ফাঁকা হয়ে গেল। মারতে শুরু করলে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ঝাণ্ডা বাধার লোক পাওয়া যাবে না। ভদ্রলোকের মতো থাক, না হলে পিটিয়ে ভদ্রলোক কেমন করে করতে হয় তা আমরা জানি। সাপের মত তৃণমূলের ঘাড় ও কোমর ভেঙে দিয়েছি। লেজটা একটু নড়ছে। সেটাও পুরসভার ভোটে বন্ধ করে দেব। যেদিনই ভোট হোক না কেন, এবার আমরাই জিতব।”

অন্যদিকে ছত্রধর মাহাতোকে জেল থেকে ছাড়িয়ে বিজেপিকে আটকানোর জন্য চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেও এদিন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের মন থেকে আতঙ্ক কাটাতে বিজেপি সভাপতি বলেন, “বিজেপিকে আটকানোর দম কারোর নেই। কেউ ঘাবরাবেন না।”

শুধু তাই নয়, নারদা সারদার প্রসঙ্গ তুলেও সিবিআই তদন্তের ব্যাপারে কিছুটা তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা যায় বঙ্গ বিজেপির সেনাপতিকে। দুর্গা পুজোর আগেই অনেকের কাছেই চিঠি আসবে বলে জল্পনা বাড়িয়ে দেন তিনি। সব মিলিয়ে একদিকে তৃণমূলকে কটাক্ষ আর অন্যদিকে তৃণমূলের পৌরসভার চেয়ারম্যানের ছেলেকে বিজেপিতে যোগদান করিয়ে রাজ্যের শাসকদলে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!