এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে তৃণমূল! বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপালের দরবারে দিলীপ-মুকুল!

করোনা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে তৃণমূল! বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপালের দরবারে দিলীপ-মুকুল!


করোনাকে আটকানোর জন্য দেশ এবং রাজ্য লকডাউন। কোনো রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ। শাসক থেকে বিরোধী কারোরই তেমন কোনো কর্মসূচি নেই। প্রত্যেকেই চেষ্টা করছেন, করোনা ভাইরাসকে আটকানোর জন্য। আর এমন পরিস্থিতিতে এবার ময়দানে নামতে দেখা গেল ভারতীয় জনতা পার্টিকে। বস্তুত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনাকে প্রতিহত করবার করতে যে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাকে প্রথমদিকে স্বাগত জানিয়েছিলেন সকলেই।

তবে যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমতে শুরু করেছে বিরোধীদের! বিশেষ করে, অনেক ক্ষেত্রেই নাকি রাজ্য সরকার করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুর ‘আসল’ সংখ্যাকে চেপে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন বিরোধীরা। তবে বিরোধীদের তোলা সেই অভিযোগ খণ্ডন করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। আর মানুষের এই দুর্দিনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানাতে রাজভবনে গেলেন বিজেপির প্রতিনিধি দল।

সূত্রের খবর, শনিবার দুপুরে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা, সব্যসাচী দত্ত সহ অন্যান্যরা। যেখানে বিজেপি’র পক্ষ থেকে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানানো হয় যে, করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে বলা হচ্ছে। অর্থাৎ বিজেপি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের কাছে তুলে ধরতে উদ্যোগী হয় যে, রাজ্য সরকার মহামারী নিয়েও রাজনীতি শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর বর্তমানে লকডাউনের সময় বিজেপির পক্ষ থেকে এই প্রতিনিধিদল রাজ্যপালের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানানোয় ব্যাপারটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, করোনার মৃত্যুর ঘটনাকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নিউমোনিয়া বা ডায়াবেটিস বলে চালানো হচ্ছে। আসলে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। তাকে গোপন রাখা হচ্ছে।

অন্যদিকে রাজ্যে করোনা মোকাবিলা করতে কোথায় কোথায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি হয়েছে, তার তথ্য তাদের কাছে নেই বলেও অভিযোগ করেছে বিজেপি। শুধু তাই নয়, রেশন ব্যবস্থা নিয়েও এদিন রাজ্যপালের কাছে নিজেদের অভিযোগ তুলে ধরে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিনিধি দল। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “মুখ দেখে রেশন দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল কর্মীরা বেশি চাল তুলে দিচ্ছেন।”

এদিকে সম্প্রতি নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশ এবং তার ফলে রাজ্যে বেশ কিছু মানুষ এই সমাবেশ থেকে আসায়, করোনা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য রাজ্যপালকে সেন্ট্রাল এক্সপার্ট মনিটরিং কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন বিজেপির প্রতিনিধিদল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপি এতদিন লকডাউনের প্রক্রিয়াকে যথাযথ ভাবেই মান্যতা দিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই তাদের রাজ্যপালের কাছে চলে যাওয়ার পেছনে নিঃসন্দেহে কারণ রয়েছে।

কেননা, প্রাথমিকভাবে রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, কেন্দ্র সরকার নাকি সেইভাবে সাহায্য করছে না। কিন্তু, এরপরেই রাজ্যের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে স্পেশাল প্যাকেজ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সবেরই ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু, তারপরেও সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী আরও ১০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ রাজ্যগুলির জন্য চেয়েছেন! এই পরিস্থিতিতে সেই টাকা যে যথাযথ খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে – তা নিশ্চিত করতেই রাজ্যপালের কাছে ছুটে গেল বিজেপির প্রতিনিধিদল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!