এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিলীপ ঘোষের সভাপতিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন খোদ বিজেপি হেভিওয়েট নেতা, খবর পৌঁছালো শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে !

দিলীপ ঘোষের সভাপতিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন খোদ বিজেপি হেভিওয়েট নেতা, খবর পৌঁছালো শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে !


দলের রাজ্য সভাপতির সমালোনার মুখর হয়ে রাজনৈতিকমহলে হৈচৈ ফেলে দিলেন খোদ বিজেপি নেতা প্রদীপ পট্টনায়ক।বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের মতো দল চালাচ্ছেন দাবি করলেন বিজেপি নেতা প্রদীপ পট্টনায়ক।

জানা যাচ্ছে এদিন খড়গপুর সদর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন প্রদীপ পট্টনায়ক। এদিন বিজেপি বাঁচাও কমিটির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তিনি ক্ষোভ উগরে বলেন, অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র হয়ে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

খড়গপুর সদর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন প্রেমচাঁদ ঝা। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির বিক্ষুব্ধ প্রার্থী হয়ে প্রদীপ পট্টনায়ক বলেন, তাঁর লড়াই হবে তৃণমূলের সঙ্গে। বিজেপি প্রার্থী এখানে কোনও ফ্যাক্টর হবেন না। তিনি বলেন, রেল শহরে প্রার্থী ঘোষণার পরই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে বিজেপি। তার জন্য দায়ী বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।

বিজেপি বাঁচাও কমিটির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়ে প্রদীপ পট্টনায়ক বলেন, আমরা দুঃখিত যে আমাদের এরকম একটা অবস্থান নিতে হচ্ছে। তবে তিনি বিজেপির হয়েই গুণগান করবেন। বিজেপির আদর্শ, বিজেপির চিন্তাধারা তিনি ছড়িয়ে দেবেন প্রচারে। নিজেকে আসল বিজেপি বলে দাবি করেন প্রদীপ পট্টনায়ক।

তিনি বলেন, “বাধ্য হয়েই বিজেপিকে বাঁচাতে তাঁদেরকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ১৯৮০ থেকে বিজেপি করছি, দল থেকে যথেষ্ট সম্মান পেয়েছিল। কিন্তু বিগত চার বছর ধরে দলে অসম্মানিত হচ্ছি। যেদিন থেকে দিলীপ ঘোষ সভাপতি হয়েছেন উনি পুরনো বিজেপি কর্মীদের বাদ দিয়ে দল চালানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাতে আমার মতো পুরনো বিজেপি কর্মীরা অসম্মানিত।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন,”আমরা দিলীপ ঘোষের এই দল চালানোর নীতির বিরুদ্ধে। আমরা বিজেপি-বিরুদ্ধ নই, আমরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও নই। আমাদের স্লোগান হবে নরেন্দ্র মোদী জিন্দাবাদ, অটলবিহারী বাজপেয়ী জিন্দাবাদ, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। আমরা কেন্দ্রের পলিসির পক্ষেইি প্রচার চালাব। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষে আমরা বলতে পারছি না।”

তিনি আরো বলেন, ” এটা আমাদের দুর্ভাগ্য, এটা বিজেপির মতো দলের দুর্ভাগ্য। বিজেপির রাজ্য সভাপতি যেভাবে দল চালাতে চাইছেন, তাতে আমরা ব্যথিত। আমরা জানতাম বিজেপি একটি স্বতন্ত্র পার্টি। কোনও সমস্যা হলেই দলীয় নেতৃত্ব জিজ্ঞাসা করত, কেন এমন হচ্ছে, কোথায় সমস্যা। কিন্তু দিলীপবাবু এসবের ঊর্ধ্বে। ওনার কাছে ওই প্রেমচাঁদ ঝা ছাড়া অন্য কারও অস্তিত্ব নেই। অনেক যোগ্য প্রার্থী ছিল, কিন্তু উনি কোনও কথাই শুনতে চাননি। উনি একেবারেই অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র হয়ে গিয়েছেন।”

সাথেই বিজেপির যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সে নিয়েও তিনি বলেন যে, “প্রার্থী ঘোষণা করেই বিজেপি মাইনাস হয়ে গিয়েছে। এখানে আমাদের সঙ্গে লড়াই হবে তৃণমূলের। খড়গপুরের মানুষ বিজেপির পক্ষেই রয়েছেন। তৃণমূলের পক্ষে নেই কিন্তু। শুধু দিলীপ ঘোষের ভুল দল পরিচালনার জন্য বিজেপি মাইনাসে রান করছে।তবে তিনি জিতবেন এই আশাও রাখছেন বিজেপি নেতা।

অন্যদিকে কানাঘুসো শোনা যাচ্ছে এই খবর নাকি গিয়ে পৌঁছেছে উপর মহলে। যে কারণেই গতকাল অরবিন্দ মেনন দলীয় নেতা নেত্রীদের কাছে গিয়ে তাদের ক্ষোভ উপশমের চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু লাভের লাভ হলো কি? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিকমহলে। কেননা এর উপনির্বাচনের মুখেই এহেন দলীয় রাজ্য সভাপতির সভাপতিত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলায় প্রভাব যে পড়বে তা মনে করছেন অনেকেই। তবে এখন দেখার এই জটিলতা কিভাবে সামাল দেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!