এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ‘বদলা’ নিতে গিয়েই কি বিজেপিতে একলা হয়ে পড়েছেন দিলীপ? স্বপন-মুকুল-রাহুলরা দিলেন কোন ইঙ্গিত?

‘বদলা’ নিতে গিয়েই কি বিজেপিতে একলা হয়ে পড়েছেন দিলীপ? স্বপন-মুকুল-রাহুলরা দিলেন কোন ইঙ্গিত?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখ খোলা মানেই রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্কের ঝড়। তিনি বাংলায় গেরুয়া শিবিরের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই কার্যত তৃণমূলের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে শুরু করেছেন। আর তাঁর সেই গরমাগরম বক্তব্যের জেরে একদিকে যেমন তাঁর ফ্যান-ফলোয়ার বেড়েছে, অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিতর্কও। অনেক সময়েই তাঁর কথাকে দল হিসাবে অনুমোদন দিতে পারে নি বিজেপি। আর আবারো একবার তিনি এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সংবাদ শিরোনামে।

রাজ্যে এতদিন করোনা ও আমপানের আবহে রাজনৈতিক কার্যকলাপ কোথাও যেন কিছুটা থমকে ছিল। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধীদের রাজনীতি করতে মানা করে নিজেরাই রাজনীতি করছে – এই অভিযোগে এবার তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নেমেছে গেরুয়া বাহিনী। নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করে দিয়ে একেবারে সামনে সেই রাজনৈতিক কার্যকলাপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন খোদ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু, এসবের মাঝেই তিনি নতুন বিতর্কে।

গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে তিনি লেখেন – বদলাও হবে বদলও হবে! যা নিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজনীতি। কেননা, ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রাজ্যে পরিবর্তন ঘটিয়ে ছিলেন, তখন তাঁর স্লোগান ছিল – বদলা নয়, বদল চাই। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ, মুখে একথা বললেও নাকি আদতে ‘বদলার’ রাজনীতিই করছে শাসক শিবির। আর তাই ২০২১ সালে বাংলায় ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’ করার ডাক দেওয়া – এবার প্রকাশ্যেই বদলার কথা বলায় তীব্র বিতর্ক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও পরবর্তীকালে, নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে দিলীপবাবু জানান, ঢাকঢাক গুড়গুড় করছি না। বদলা না নিলে লোকে আমাদের কাপুরুষ বলবে। তাই বদল হলে বদলাও হবে। তৃণমূলীদের সমাজবিরোধীদের বদলা নেব। যে সমস্ত আধিকারিক আমাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছেন, তাঁদের উপর প্রশাসনিকভাবে বদলা নেব। কিন্তু, দিলীপবাবু মুখে যে কথাই বলুন, তাঁর এই কথার মধ্যে কোথাও যেন ‘হিংসার’ কথা লুকিয়ে আছে বলে পাল্টা প্রচার শুরু হয়ে গেছে। যা নিঃসন্দেহে চিন্তা বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবিরের।

ক্ষমতায় আসার আগেই যদি এই ধরনের ‘হিংসা’ নিয়ে সরব হয় গেরুয়া শিবির, তাহলে ক্ষমতায় এলে কি হবে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে আমজনতার মনে। আর তার পূর্ণ ‘সদ্ব্যবহার’ করছে শাসকদল। আর তাই অস্বস্তি ঢাকতে বিজেপির ‘থিঙ্কট্যাঙ্ক’ এবার নিশ্চিত করে দিল – এহন বার্তা কার্যত দিলীপবাবুর ব্যক্তিগত। দল হিসাবে বিজেপি কোনো সময়েই হিংসাকে সমর্থন করে না। আর তাই, দিলীপবাবুর এহেন প্রতিক্রিয়ার পরে, এই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির তিন অন্য শীর্ষনেতা।

এদিন এই প্রসঙ্গে, বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তৃণমূল হিংসা চালাচ্ছে রাজ্যের কোণে কোণে। রাজ্যবাসী তাই ক্ষেপে রয়েছে শাসকদল তণমূলের উপর। ২০২১-এ বাংলায় বদল আসছেই, বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। তবে আইনশৃঙ্খলা হাতে তুলে নেবে না বিজেপি। আইনানুগ পথেই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে মুকুল রায় জানিয়েছেন, দিলীপ ঘোষ কী বলেছেন, কী বিষয়ে লিখেছেন, তা না জেনে মন্তব্য করাটা উচিত হবে না। তবে এটুকু বলতে পারি, হিংসা বিজেপির পথ নয়। বিজেপির কেউ হিংসায় বিশ্বাসী নন। ফলে বদলার প্রশ্নই ওঠে না।

এমনকি এই নিয়ে মুখ খুলে রাহুল সিনহার বক্তব্য, বিজেপির একটাই পথ শান্তি ও উন্নয়ন। এই শান্তি ও উন্নয়নের পথ থেকে বিজেপি কোনওদিনও সরে আসেনি, সরে আসবেও না। বিজেপি সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাবে। শান্তির পথ ধরে মানুষ তথা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই বিজেপির লক্ষ্য। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে ‘বদলার’ কথা একান্তই যে দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। দলগতভাবে বিজেপির মূলমন্ত্র ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সেই কথাই জোর দিয়ে উঠে আসছে। এখন সাধারণ মানুষ, সমগ্র ব্যাপারটাকে কিভাবে নেন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!