এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পরের বিধানসভা নির্বাচনে ওনাকে আর নবান্নে আসতে হবে না — মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

পরের বিধানসভা নির্বাচনে ওনাকে আর নবান্নে আসতে হবে না — মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

গতকাল রায়গঞ্জের চন্ডীতলার মাঠে আয়োজিত সভামঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আগামী লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যে আর জোড়াফুলের নামগন্ধ থাকবে না। পদ্মের সুরভি ছড়িয়ে পড়বে রাজ্যের কোনায় কোনায়। এমনটাই বক্তব্য দিলীপ ঘোষের৷

সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কটাক্ষ করে বললেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আগামী নির্বাচনেই বুঝে যাবেন কত ধানে কত চাল হয়। আর পরের বিধানসভা নির্বাচনে ওনাকে আর নবান্নে আসতে হবে না কালীঘাটের টালির বাড়িতে রামায়ন পাঠ করবেন তিনি।’

প্রসঙ্গত, রাজ্যে গনতন্ত্র রক্ষার দাবীতে জেলা বিজেপির ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির হাইকমান্ডার। রায়গঞ্জের চন্ডীতলার মাঠে আয়োজিত সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিষোদগার করলেন তিনি। এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জয়ের জন্যে তৃণমূল সরকারকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।

এদিনের সভায় শাসকদলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে কোচবিহারের পরেই উত্তর দিনাজপুর সবথেকে সন্ত্রাস কবলিত জেলার খেতাব ছিনিয়ে নিয়েছে৷ গনতন্ত্র,আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই এখানে। নিরাপত্তা দেওয়ার বদলে পুলিশ তোলাবাজি করতে ব্যস্ত। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলেই জেলে পুরে দেওয়ার শাসানি দেওয়া হচ্ছে।

এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্যে জেলা বিজেপি সভাপতিকে দীর্ঘদিন জেলের বাইরে থাকতে হয়েছে বলেও জানান তিনি। শুধু উত্তরবঙ্গের জেলা নয়,গোটা রাজ্যেই গনতন্ত্রকে প্রহসণ বানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কন্যাশ্রীরা ধর্ষিত হচ্ছে,খুন হচ্ছে৷ বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গই মহিলাদের জন্য সবথেকে অসুরক্ষিত রাজ্য, এমনটাই দাবী করলেন দিলীপ ঘোষ।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি এটাও জানালেন,প্রশাসনের সেই ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্যেই ক্ষতিপূরণ দিয়ে মুখ বন্ধ করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর দাড়িভিট প্রসঙ্গ তুলেই রাজ্যসরকারকে আক্রমণ করতে ভুললেন না তিনি। তাঁর কথায়, রাজ্যের এতোটাই বেহাল দশা যে স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা বাংলা শিক্ষক চাইলে তাদেরকে উর্দু শিক্ষক দেওয়া হয়। টেটের রেজাল্ট ঠিকঠাক প্রকাশ হচ্ছে না। এর সঙ্গে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দাড়িভিটের বয়কট করার যে সিদ্ধান্ত নিহতের পরিবার এবং স্থানীয়রা নিয়েছেন সেটারও সমর্থন জানান তিনি।

রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থ’ বলে দিলীপ বাবু জানান, এ রাজ্যের এখন চাকরি থেকে পড়াশুনো সমস্ত কিছুর জন্যে ঘুষ দিতে হচ্ছে। রাজ্যের এতোটাই বাজে অবস্থা যে অনাহারে আটজন শবর জাতির মানুষকে মরতে হল। আর মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এগুলো সাধারণ ঘটনা লাগছে।

মঞ্চ থেকে রাজ্যসরকারের দোষ ত্রুটি দেখানোর পাশাপাশি বিজেপি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করলেন তিনি। বললেন, রাজ্যের কৃষকদের ভোটব্যাঙ্কগুলো আয়ত্ত্বে রাখার জন্যে বড় বড় কথা বললেও আসলে কাজের কাজ কিছুই করেনি মা মাটি মানুষের সরকার। যে ধান চাষ করেনি সে এ রাজ্যে টাকা পাচ্ছে আর যে ধান চাষ করেছে তার সর্বস্বান্ত অবস্থা এ রাজ্যে।

আজ পর্যন্ত সবথেকে বেশি সহায়ক মূল্য দিয়েছে মোদী সরকার,এমনটাই দাবীতে জানালেন দিলীপ বাবু। কিন্তু শুধুমাত্র রাজ্যসরকারের ব্যর্থতার জন্যে ঠিকঠাক টাকা পাচ্ছেন না চাষীরা। দালাল চক্র এতোটাই সক্রিয় এ রাজ্যে যে চাষীদের এতো ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!