এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মহুয়া মৈত্রের ‘বিবেকের তাড়নার’ কথা সামনে এনে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলে দিলেন দিলীপ ঘোষ!

মহুয়া মৈত্রের ‘বিবেকের তাড়নার’ কথা সামনে এনে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলে দিলেন দিলীপ ঘোষ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনীতিতে এমন কিছু মন্তব্য করা উচিত নয়, যাতে তা বিরোধীদের কাছে অস্ত্র হয়ে দাঁড়ায় বলে মনে করেন বহু তাবড় তাবড় রাজনীতিবিদ। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। যেখানে নিজের দলের পরিচালিত পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাকে। যার পরেই তৃণমূলের তরফে এই বিষয় নিয়ে মহুয়া মৈত্র কেন এভাবে দল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হতে শুরু করে।

শুধু তাই নয়, গোটা বিষয়ে এবার বিরোধীরা যে এই ঘটনাকে ইস্যু করবে, তাতে প্রায় নিশ্চিত ছিল রাজনৈতিক মহল। আর যেমন ভাবা, তেমন কাজ। এবার কৃষ্ণনগরের মাটিতে দাঁড়িয়ে মহুয়া মৈত্রর বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সূত্রের খবর, এদিন কৃষ্ণনগরে একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। মহুয়া মৈত্রর সুরেই সুর মিলিয়ে তিনি বলেন, “মানুষের জন্য কেন্দ্র যে টাকা পাঠাচ্ছে, তা লুট হয়ে যাচ্ছে। আসলে মহুয়া মৈত্র বিবেকের তাড়নায় এইসব কথা বলছেন।”

দিলীপবাবু আরও বলেন, “2021 সালে নির্বাচন। তার আগে মানুষকে হিসেব দিতে হবে। তাই আগে থেকে এসব বলে বাহানা দেখাচ্ছেন। কিন্তু লোক ক্ষমা করবে না। 10 বছর ধরে ওনারা পঞ্চায়েত চালাচ্ছেন। পরিকাঠামো তৈরি না হলে সম্পূর্ণ দায় ওনাদের।” আর দিলীপবাবু কৃষ্ণনগরের মাটি থেকে পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করায় এখন ঘাসফুল শিবির অনেকটাই বিপাকে পড়েছে। তৃণমূলের অনেকেই বলেছেন, যেখানে দলের নেত্রী নিজের দলের পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হন, সেখানে বিরোধীরা তো নতুন করে অস্ত্র হাতে পাবেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেই অস্ত্রেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহুয়া মৈত্র প্রকাশ্য ভিডিওতে নিজের দলের পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে সরব হয়ে আদতে দলের বিরম্বনা অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখন সেই ঘটনাটাকে ইস্যু করে যেমন মহুয়া মৈত্রকে বিরোধীরা কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে, ঠিক তেমনই তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বিরোধীরা অনেকটাই নিজেদের দিকে জনমত টানতে সক্ষম হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন পরিচয় শ্রমিকদের নিয়েও রাজ্যকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান দিলীপ ঘোষ।

তিনি বলেন, “এই রাজ্য সরকারের কাছে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোনো তালিকা বা তথ্য নেই। রাজ্য সরকার চাইলে আমরা সেই তথ্য দেব। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও সেই শ্রমিকদের সহযোগিতা করার অনুরোধ করব।” কিন্তু বর্তমানে বিজেপিতে মুকুল রায়ের জায়গা পাওয়া নিয়ে জল্পনা চলছে, তার কি হবে? এদিন সেই ব্যাপারেও রাশ টানেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “মুকুল রায় সর্বভারতীয় নেতা। ওনাকে তো এখানে আটকে রাখা যায় না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মুকুলবাবুকে ব্যবহার করছেন।”

পাশাপাশি বিজেপিতে থাকতে হলে সবাইকে নিয়ম মেনেই চলতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। অর্থাৎ একদিকে দলীয় শৃঙ্খলাকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলে দলের বিদ্রোহীদের যেন যেমন সমঝে দিলেন দিলীপবাবু, ঠিক তেমনই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে মহুয়া মৈত্রের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে কৃষ্ণনগরের মাটিতে শোরগোল তুলে দিলেন তিনি। আর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিলীপবাবুর এই রাজনৈতিক গতিবিধিই প্রমান করে দিচ্ছে একুশের মহাযুদ্ধের দিকে তাকিয়ে এখন থেকেই ঝড় তুলতে শুরু করে দিল গেরুয়া শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!