এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > অনুব্রত-গড়ে দাঁড়িয়েই দিদির ভাই কেষ্টকে ‘তীব্র আক্রমণ’ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের

অনুব্রত-গড়ে দাঁড়িয়েই দিদির ভাই কেষ্টকে ‘তীব্র আক্রমণ’ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের

শনিবার গনতন্ত্র বাঁচাও অনুষ্ঠানে রামপুরহাটের রেল ময়দানে হাজির ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য, এদিনই দুপুরে তারাপীঠ থেকে গণতন্ত্র যাত্রা শুরু করার কথা ছিল বিজেপির। কিন্তু, শুক্রবার দুপুরে হাইকোর্টেরর রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর গেরুয়া শিবিরের তরফে সেই কর্মসূচি আর নেওয়া হয় নি। স্বাভাবিকভাবেই, গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা নিয়ে যে উন্মাদনা তৈরী হয়েছিল – বিভিন্ন কারণে তা এখনও দিনের আলো না দেখায় কিছুটা হতাশ বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা।

কিন্তু, প্রশাসনিক বাধায় ও আইনি জটিলতায় এই কর্মসূচি না নেওয়া গেলেও, তার প্রস্তুতি সভার মোড়কে দলীয় কমীদের মনোবল ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ত্ব। এদিন রামপুরহাটের সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের নাম না করে দিলীপবাবু বলেন, “এখানে একটা মোটা লোক আছে। রাস্তায় আসতে আসতে দেখলাম মোটা গোঁফ নিয়ে রাস্তার ধারে ছবি ঝুলিয়ে জোড় হাত করে আমাদের স্বাগত জানাচ্ছে”।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপরেই তিনি বলেন, “এই জেলা ওই মোটা লোকটার জন্যই বিখ্যাত। রাজ্যের সব থেকে সন্ত্রাস কবলিত এলাকা বীরভূম। এখানে বিজেপিকে মারতে মারতে এখন নিজেদের মধ্যেই মারামারি করছে। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। এখানে দিয়ে বালি, কয়লা, পাথর পাচার হচ্ছে। যার হিস্যা পাচ্ছে তৃণমূল নেতারা। এর বিচার একদিন হবে”। এরপর পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের সভার কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই দেখুন পুলিশ মুখ ঘুরিয়ে রয়েছে। এই পুলিশ আমাদের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। ক্ষমতায় এলে আমাদের খরচ হওয়া টাকা ওই সমস্ত পুলিশ অফিসারদের কাছ থেকে আদায় করব। তাদের সম্পত্তির হিসাব আমরা নেব”।

রথযাত্রার মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াবে – শনিবারই তা নিশ্চিত করেছে রাজ্য বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্বের সম্মতিও এসে গিয়েছে। বিজেপি কী সুপ্রিম কোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চে আবেদন করবে, নাকি কোর্ট চালু হলে আবেদন করবে? তা অবশ্য ঠিক হয়ে যাবে সোমবার বলে জানা গেছে। তবে একথা পরিষ্কার, রথযাত্রা নিয়ে আইনি পদ্ধতিতে বিন্দুমাত্র দেরি করতে রাজি নয় বিজেপি। পাশাপাশিই, রাজনৈতিকভাবেও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মনোভাবই যে ধরে রাখা হবে – তা দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের গড়ে দাঁড়িয়ে আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!