এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিলীপ ঘোষ তাঁর প্রতি প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতেই ‘রহস্য’ খুঁজে পাচ্ছেন হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রী!

দিলীপ ঘোষ তাঁর প্রতি প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতেই ‘রহস্য’ খুঁজে পাচ্ছেন হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রী!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতিই হোক কিংবা আমফান পরবর্তী অবস্থা, প্রতিটি ব্যাপারেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতা করেছে বিরোধী শিবির বিজেপি। সম্প্রতি গড়িয়ায় শ্মশান কান্ড নিয়েও শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করে বিজেপি। কিন্তু হঠাৎ করেই রাজ্য বিজেপির সভাপতির মুখে তৃণমূলের এক হেভিওয়েট নেতার প্রশংসা। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। তবে কোন পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূল হেভিওয়েট নেতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন সে কথা জানতে গেলে অবশ্য আরো কিছু ঘটনার উত্থাপন হওয়া প্রয়োজন।

রবিবার 75 বছরে পা দিলেন প্রাক্তন মেয়র তথা হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখার্জি। সূত্রের খবর, অতীতে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির হাত ধরে রাজনীতিতে তাঁর প্রবেশ। আর তারপর পেছনে ঘুরে তাকাতে হয়নি। দশবার বিধায়ক হয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়ান একবার কংগ্রেসের টিকিটে, আরেকবার তৃণমূলের টিকিটে। বাঁকুড়া থেকে মনোনয়ন পান বলে জানা গেছে। মাত্র 24 বছর বয়সে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য হন তিনি। আর তারপরেই কলকাতা পুরসভার দক্ষ মেয়র হিসেবে নিজের নাম করেন।

এদিন সুব্রত মুখার্জ্জীর 75 তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন। দিলীপ ঘোষ এদিন ফিরহাদ হাকিম কতটা অযোগ্য কলকাতা পুরসভার প্রশাসক হিসাবে, সে কথা প্রমাণ করতে গিয়ে সুব্রত বাবুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। কিন্তু সুব্রত বাবুর প্রশংসা করেও খুব একটা ভালো মন্তব্য পাননি তৃণমূল শিবিরের হেভিওয়েট নেতার পক্ষ থেকে গেরুয়া শিবিরের সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাল্টা সুব্রত মুখার্জি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, হয়তো তৃণমূলের মধ্যে বিভাজন ঘটানোর জন্যই রাজ্য বিজেপি সভাপতির এহেন উক্তি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বরং প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখার্জ্জী এদিন কলকাতা পুরসভার বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিমের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, জন্মদিনের সকালে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রচুর রাজনৈতিক নেতার শুভেচ্ছা বার্তা এসেছে তাঁর কাছে। তবে লকডাউন এর কারণে এবার যে সামাজিক বিধিনিষেধ মানতে হচ্ছে, সেকথাও জানাতে ভোলেননি তিনি। তবে অফিসের কাজ শুরু হবার পাশাপাশি তিনি যে বালিগঞ্জ বিধানসভার সাংগঠনিক কাজ গুছিয়ে নিতে উদ্যোগী হয়েছেন, সে কথাও জানিয়েছেন।

এর সাথেই রাজ্যের অন্যতম বিরোধী শিবির বিজেপির বিরুদ্ধে সুব্রত মুখার্জি এভাবেই যে সোচ্চার আক্রমণ চালাবেন, সেকথাও পরিষ্কার করে দিলেন তিনি এদিন। অন্যদিকে হঠাৎ করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ একজন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে অন্য আরেকজন তৃণমূল নেতাকে প্রশংসায় ভরিয়ে তুললেন কেন, সেকথা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে বিজেপি শিবিরের অন্দরেই। এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মত, রাজনৈতিক ময়দানে এভাবে অনেক কথাই বলা হয়। দিলীপ ঘোষের এহেন প্রশংসার পেছনে অন্য কোন সমীকরণ কাজ করছে কিনা তা নিয়ে এই মুহুর্তে চলছে জোর রাজনৈতিক চর্চা।

মমতা মন্ত্রীসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সুব্রতবাবু এদিন বেশ চাঁচাছোলা ভাষায় বলেন, আমার প্রশংসা দিলীপবাবু কেন করলেন, সেটা দেখতে হবে। আমার মনে হয়, আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতেই এই ধরনের মন্তব্য। একজনকে খাটো করলাম, আরেকজনের প্রশংসা করলাম, এটা অনেকেই করে থাকেন। এখন যে পরিস্থিতি, তাতে মেয়র হিসেবে ফিরহাদ ভাল কাজই করছেন। ‌দিলীপবাবুর কি আর কোনও কাজ নেই?‌ শেষমেশ এই সব কাজে তাঁকে নামতে হচ্ছে। তিনি কী চাইছেন?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!