এবার দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে চলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী, জেনে নিন কলকাতা রাজ্য May 27, 2020 এবার দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে চলেছেন রাজ্যের এক মন্ত্রী এদিন এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। জানা যাচ্ছে রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন যে, “৭, ১০ দিন নয় ১৫ দিন সময় দিচ্ছি প্রমান করুন নাহলে ক্ষমা চান নাহলে আপনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে বাধ্য হব। ” প্রসঙ্গত, একদিকে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় এবং অন্যদিকে ভয়াবহ দুর্যোগের মোকাবিলা করতে গিয়ে নানা সময়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে বিধ্বস্ত করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এবার রাজ্যের বর্তমান বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। যেখানে নদীবাঁধ তৈরির টাকা সেচমন্ত্রী থাকার সময় রাজীববাবু আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করলেন তিনি। আর দিলীপবাবুর এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই এখন শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সরাসরি অভিযোগ তুলে বলেন, “তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতার জন্যই আজ রাজ্যে এই সংকট তৈরি হয়েছে। বাঁধ নির্মাণের কাজ হয়নি। বন্যানিয়ন্ত্রণ ও বাঁধের মোকাবিলার জন্য কোনো কাজ করেনি রাজ্য সরকার। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বনমন্ত্রী। এর আগে তিনি সেচ দপ্তর সামলেছেন। তখনই আলয়া বাঁধ নির্মাণের টাকা এসেছে মুহুর্মুহু। কিন্তু সেই টাকায় নদী বাঁধ সংস্কার হয়নি। নদীবাঁধ তৈরির টাকা উনি আত্মসাৎ করেছেন। আর সেই কারণেই আমফানের ঝাপটায় প্লাবন হয়ে গিয়েছে। এত বড় ক্ষতির জন্য তৃণমূলের অযোগ্য মন্ত্রীরাই দায়ী।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এই নিয়েই এদিন মুখ খোলেন বনমন্ত্রী। তিনি বলেন যে, ” আমি নিজে অন্যায় করিনি আর অন্যায়কে প্রশয় দিই নি। সচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছি। তাই যদি কোনোতথ্য থাকে যে আমি টাকা আত্মস্যাৎ করেছি, ৭ দিন নয় ১০ দিন নয়, আমি আপনাকে(দিলীপ ঘোষ)১৫ দিন সময় দিলাম , সমস্ত তথ্য নিয়ে আপনি প্রমান করুন আমি টাকা আত্মসাৎ করেছি। যদি আমার বিরুদ্ধে ১ টাকাও কোথাও নয়ছয়ের অভিযোগ প্রমান করতে পারেন আমি রাজনীতি করা ছেড়ে দেব ,আর ১৫ দিনের মধ্যে আপনি প্রমান করতে না পারেন আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে বা বলতে হবে আপনি উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে এটা বলতে চাননি, মুখ ফস্কে বেরিয়ে গেছে নচেৎ যথাযোগ্য জায়গায় আপনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে আমি বাধ্য হবো। ” যদিও এই নিয়ে এখনো মুখ খোলেননি দিলীপবাবু। দিলীপবাবু র কাছে তথ্য আছে কিনা, তা তিনি দেখতে পারেন কিনা, নাকি শেষমেশ ক্ষমা চান তার দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিকমহল। আপনার মতামত জানান -