এবার কি রেশনের সঙ্গে প্রতিমাসে মাথাপিছু মিলবে হাজার টাকা? মমতার উপর চাপ বাড়ালেন দিলীপ কলকাতা রাজ্য May 5, 2020 করোনা আবহে প্রাথমিকভাবে বাংলার দুই প্রবল যুযুধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক দূরত্ব ভুলে এক হয়ে কাজ করার মানসিকতা দেখা গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকে হাজির হয়ে সেই বার্তাই দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। কিন্তু, যতদিন গড়াতে থাকে ততই সেই ‘ফিল গুড ফ্যাক্টরকে’ দূরে সরিয়ে রেখে রাজনৈতিক লড়াই প্রবল হয়ে ওঠে দুই দলের মধ্যে। দুই শিবিরই একে অপরের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ নিয়ে আসে। তৃণমূল অভিযোগ তোলে, বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা এই সময় মানুষের পাশে না থেকে ঘরে বসে রাজনীতি করছে। বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকারও যথাযথ সাহায্য করছে না। এমনকি রাজ্যপালের সাংবিধানিক পদকেও নাকি বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ ছিল, তৃণমূলই রাজনীতি করে বিজেপি নেতা বা জনপ্রতিনিধিদের ত্রাণ বিলি করতে দিচ্ছে না। করোনা নিয়ে তথ্যও চেপে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। এমনকি এই সময়ে নাকি রেশনেও দুর্নীতি করছেন তৃণমূল নেতারা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এই কঠিন আবহেই এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ চাপ বাড়িয়ে একগুচ্ছ পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন তিনি এক খোলা চিঠিতে রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দেন, বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে গরীব পরিবারগুলিকে আগামী তিন মাসের জন্য রেশনের সঙ্গে মাথা পিছু এক হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হোক। এছাড়াও, আগামী ছমাস রেশন সামগ্রী বিনামূল্যে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার। এখানেই শেষ নয় – দিলীপবাবু এদিন আরও দাবি করেন, চিকিত্সক-নার্স থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। তাই অনেকে চিকিত্সা করতে আসতে ভয় পাচ্ছেন। উত্সাহ দিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন দ্বিগুণ করা হোক। সারা দেশের মধ্যে কোভিড টেস্টে পশ্চিমবঙ্গ সব চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। যথেষ্ট কিট মজুত থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষা করা হচ্ছে না, মৃত্যুর হারও দেশের তুলনায় এরাজ্যে অনেক বেশি। তাই রাজ্যে আরও বেশি করে টেস্ট করুক সরকার। আপনার মতামত জানান -