আজ ধর্মতলায় দিলীপ ঘোষের হাত ধরে মিলে যেতে চলেছে সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষক আন্দোলন – জানুন বিস্তারিত কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য December 17, 2018 যত দিন যাচ্ছে ততই রাজ্য সরকারের ‘বঞ্চনা’ নিয়ে ক্ষোভ তীব্রতর হচ্ছে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের মধ্যে। একেই দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া ডিএর পরিমান বাড়তে বাড়তে আকাশ ছুঁয়েছে – তার উপরে পে কমিশন নিয়ে রাজ্য সরকারের দীর্ঘসূত্রিতা ভেঙে দিয়েছে অতীতের সব রেকর্ড। এই অবস্থায় আজ ধর্মতলায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে মিলে যেতে চলেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের আন্দোলন। আজ ধর্মতলার ‘ওয়াই চ্যানেলে’ সরকারী কর্মচারী পরিষদ, ওয়েষ্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটিজ কর্মচারী পরিষদ, বিজেপি টিচার্স সেল, বিদ্যুৎ কর্মচারী পরিষদ, ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেনড টিচার অ্যাসোসিয়েশন ও অন্যান্য সংগঠনের ডাকে এক অভিনব ধর্ণা কর্মসূচি হতে চলেছে। যে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে দিলীপবাবুর হাত ধরে বলে জানা গেছে। আর শুধু বিজেপি রাজ্য সভাপতিই নন – এই আন্দোলনে গেরুয়া শিবিরের অন্যান্য রথী-মাহারথীরাও থাকতে চলেছেন বলে জানা গেছে। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এই প্রসঙ্গে অন্যতম সংগঠক ও সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশীষ শীল জানিয়েছেন, সরকারী কর্মচারী, শিক্ষক, প্রাথমিক শিক্ষক সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের লড়াই সংগ্রামে আপনাদের সহযোগিতা আমরা কখনই ভুলি না। আজ ধর্মতলা ‘ওয়াই চ্যানেলে’ আমরা একাধিক সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখা দাবিদাওয়া আদায়ের লক্ষে “ধর্ণা” কর্মসূচী গ্রহণ করেছি। কর্মসূচীর প্রারম্ভে প্রধান বক্তা মাননীয় বিধায়ক ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ আমাদের লড়াই আন্দোলনে উৎসাহ যোগাবেন তাঁর মূল্যবান বক্তব্য পেশ করে। দেবাশীষবাবু আরও বলেন, এছাড়াও সায়ন্তন বসু , জয় ব্যানার্জী প্রমুখ উপস্থিত থাকবেন। জননেতা রাহুল সিনহারও আসার সম্ভাবনা আছে। এই কর্মসূচীতে অভিনব প্রতীকী প্রতিবাদের প্রদর্শন করা হবে। অন্যদিকে, ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেনড টিচার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি পিন্টু পাড়ুই জানান, রাজ্যের হাজার হাজার প্রাথমিক শিক্ষক পিআরটি স্কেল পাচ্ছেন না দিনের পর দিন – রাজ্য সরকার সব জেনেও চুপ! তাই আমাদের দাবি, একদিকে যেমন এইচএস ও ট্রেন্ড ক্যাটাগরী স্কেল ছিনিয়ে আনা – অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে বাধ্য করা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সমস্ত বঞ্চিত পিটিটিআইদের নিয়োগ করতে। এই প্রসঙ্গে, বিজেপি টিচার্স সেলের রাজ্য সভাপতি দীপল বিশ্বাসের বক্তব্য, সমাজের মেরুদন্ড হলেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। যাঁরা সমাজ গড়ার কারিগর, তাঁরাই দীর্ঘদিন ধরে বেতন বৈষম্যের শিকার। পূর্বতন সরকারের আমল থেকে শুরু করে বর্তমান সরকারের আমলেও অবসান হয় নি এই বঞ্চনার। দেশ গড়ার কারিগর সেই প্রাথমিক শিক্ষকরাই সব থেকে বঞ্চিত এই রাজ্যে। আর এই বঞ্চিত প্রাথমিক শিক্ষক দের জন্য কেন্দ্রীয় ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সমতূল্য বেতন কাঠামো চালু করে পে কমিশন প্রকাশের দাবী নিয়ে আমরা আজ আন্দোলনের ঝড় তুলতে চলেছি। আপনার মতামত জানান -