এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > দিলীপ ঘোষের “গুলি”বিতর্ক থামতে না থামতেই তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার মুখে ” গুলি” শুরু বিতর্ক

দিলীপ ঘোষের “গুলি”বিতর্ক থামতে না থামতেই তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার মুখে ” গুলি” শুরু বিতর্ক

বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনৈতিক মহলে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অনিবার্যভাবে সামনে এসেছে সেই প্রশ্ন, বঙ্গ রাজনীতিতে হিংসা ও কুকথার ঝড় কবে থামবে? হিংসা, উস্কানিমূলক এবং অবমাননাকর মন্তব্য দিলীপ ঘোষের মুখে নতুন নয়। কিন্তু রাণাঘাটের মঞ্চে দাঁড়িয়ে দিলীপ ঘোষ যে মন্তব্য করেছেন, তাতে নিজের দলের মধ্যেও সমানভাবেই সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে ঘিরে সরব হয়েছেন রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বিজেপি বিরোধী শিবিরগুলি। অন্যদিকে ধিক্কার, নিন্দা জানিয়েছে সমানভাবে নাগরিক সমাজও।

এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করলেন। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যে সমালোচনা করেছেন তারই দলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এবার বাবুলের মন্তব্যকে রিটুইট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মন্তব্য জানালেন তৃণমূল যুব সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তীব্র ক্কোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে লেখেন, দিলীপ ঘোষ সঠিক মন্তব্য করেছেন। কারণ তাঁর মন্তব্যের ফলেই বিজেপির আসল চরিত্র পরিস্ফুট হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে দিলীপ ঘোষের নিজের দলের সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে তাঁর সমালোচনা করেছেন। তিনি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে জানিয়ে দিয়েছেন দীলিপবাবুর মন্তব্য সম্পূর্ণরূপে তাঁর নিজের। দলের কোনো দায়িত্ব নেই এ ব্যাপারে। বাংলায় বিজেপি নেতৃত্বের জন্য পরবর্তী মুখ দিলীপ ঘোষের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুতর সন্দেহ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দীলিপবাবুকে সরাসরি প্রশ্ন করে বলেছেন, “দিলীপবাবু স্পষ্ট করুন, আপনার বিবৃতিটি আপনার দলের নাকি ব্যক্তিগত মতামত। দয়া করে তা জানান। কেননা আপনি দলের রাজ্য সভাপতি। তাই আপনার ওই মন্তব্য দলের বক্তব্য।” অভিষেক আরো বলেন, দিলীপ ঘোষের মন্তব্যেই প্রমাণ হয়ে গেছে বিজেপির আসল চরিত্র। এই মন্তব্যের ফলে মানুষের কাছে বিজেপির চরিত্র আরো একটু পরিস্ফুট হলো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে ঘিরে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বীরভূম জেলা সভাপতি তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল। এদিন তৃণমূলের সভা থেকে সরাসরি দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করে অনুব্রত বলেন, “দিলীপ ঘোষকে সরাসরি গুলি করে মারা উচিত।” দিলীপ ঘোষের গুলি করে মারার বক্তব্যের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্যকে ঘিরেও তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে দিলীপ ও অনুব্রত দুজনেই মর্যাদাহানিকর বক্তব্য রেখেছেন।

প্রসঙ্গত, নদীয়ার রানাঘাট থেকে এর আগে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “যাঁরা আগুন লাগাচ্ছে, সম্পত্তি নষ্ট করছে, তাদের কি বাপের সম্পত্তি এটা। এটা আমার-আপনার সম্পত্তি। অসম-উত্তরপ্রদেশে আমাদের সরকার এই বিক্ষোভকারীদের কুকুরের মতো গুলি চালিয়েছে। আমরাও সুযোগ পেলে গুলি করে মারব সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসকারীদের।”

ইতিমধ্যে রাজ্য বিজেপি সভাপতির মন্তব্যকে ঘিরে তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। শুধু তাই নয় তাঁর মন্তব্যকে ঘিরে বিজেপি মহলেও যথেষ্ট অস্বস্তির সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের অনুব্রতর মন্তব্যকে ঘিরেও তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। নাগরিক সমা তাঁর বক্তব্যের বিরুদ্ধেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে যদি এভাবে কুকথার ঝড় বয় তাহলে পরবর্তীকালে রাজনীতিকদের কথার কোনো ভিত্তি থাকবে না। তবে আপাতত রাজ্য বিজেপির সভাপতির বক্তব্যের সিকিভাগও নিজেদের দায়িত্বে নেননি কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। আপাতত রাজ্য বিজেপি সভাপতির এই ধরনের মন্তব্যের পরবর্তী কি হতে চলেছে সে দিকেই লক্ষ্য রাখছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!