দিলীপ ঘোষের সভায় তাঁর সুরেই সুর মিলিয়ে স্লোগান তৃণমূল কর্মীদেরও? চূড়ান্ত জল্পনা রাজ্যজুড়ে তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য November 29, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তৃণমূলের অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছেন। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের অনেকে বিজেপিকে বাড়তি ভাবে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে এতদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত অভিযোগকে কার্যত নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রী পদে থেকে ইস্তফা থেকে শুরু করে মিহির গোস্বামীর মত প্রবীণ তৃণমূল বিধায়কের বিজেপিতে যোগদান আশঙ্কাকে কার্যত বাড়িয়ে দিতে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার দিলীপ ঘোষের সভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান চলার সময় স্থানীয় তৃণমুলের একাংশ সেই স্লোগানে গলা মিলিয়েছেন বলে দাবি করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যার ফলে তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এদিন কুপার্স ক্যাম্পে স্থানীয় বাজারের পাশে বিধানচন্দ্র স্মৃতি সংঘের মাঠে বিজেপির রাজ্য সভাপতির একটি জনসভা হয়। যেখানে সভা চলাকালীন তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। আর সেই স্লোগানেই গলা মেলাতে দেখা যায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের। স্বাভাবিকভাবেই তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরাও বিজেপির সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে স্লোগান হচ্ছিল, তাতে গলা মেলানোয় কিছুটা উজ্জীবিত ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে নদিয়া দক্ষিণ জেলা বিজেপির সহ সভাপতি বিপুল উকিল বলেন, “আমাদের কয়েকজন এই স্লোগান দিচ্ছিল বলে শুনেছি। এখন অনেকেই আমাদের দলে আসতে চাইছেন। তাদের মধ্যে তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা রয়েছেন। কাকে নেওয়া হবে, সেটা তো পরে ঠিক করা হবে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতা দখল করছে। এই আনন্দে শ্রোতারা স্লোগান দিচ্ছিলেন।” যদিও বা বিজেপির এতে উজ্জীবিত হওয়ার কিছুই নেই বলে পাল্টা দাবি করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে কুপার্স শহর তৃণমূল সভাপতি দিলীপ কুমার দাস বলেন, “আমাদের এলাকায় শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বলে কেউ নেই। আমরা সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী। তারা কেউ দলের বাইরে যাবে না। এতে বিজেপির আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কিছুদিন আগেই বাঁকুড়া সভা থেকে দলের অনেকেই যে অনেকের সাথে যোগাযোগ রাখছে, সেই ব্যাপারে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি সমস্ত খবর রাখছেন, কে কার সাথে যোগাযোগ রাখছে।আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পর কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায় যে, তৃণমূলের অনেকেই যে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, তা বুঝতে পেরেছেন দলনেত্রী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - স্বাভাবিকভাবেই যত দিন যাচ্ছে, ততই বিজেপির পক্ষ থেকেও শাসকদলের অনেক হেভিওয়েট নেতা তাদের দলে যোগদান করতে চাইছে বলে দাবি করা হচ্ছে। আর এবার কোনো রাখঢাক না করে সরাসরি যেভাবে বিজেপির সভা থেকে তৃণমূলের কর্মীরা কার্যত বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে স্লোগান তুলল, তাতে অস্বস্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে শাসকদলের। যদি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে তৃণমূলের এই কর্মীরা যদি দলবদল না করে শাসকদলে থেকে বিজেপির হয়ে ভোট করিয়ে দেয়, তাহলে আগামীদিনে তৃণমূলের পক্ষে যে তা বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেক্ষেত্রে দলের প্রকৃত কর্মীদের যদি তৃণমূল কংগ্রেস অচিরেই চিহ্নিত করতে না পারে, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচন তাদের কাছে এই অন্তর্ঘাতের কারণে ভরাডুবির সম্মুখীন হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -