এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দিলীপ-গড়ে নিজেদের সংগঠন ঢেলে সাজাচ্ছে তৃণমূল! পদ গেল একাধিক হেভিওয়েটের, দায়িত্বে নতুনরা

দিলীপ-গড়ে নিজেদের সংগঠন ঢেলে সাজাচ্ছে তৃণমূল! পদ গেল একাধিক হেভিওয়েটের, দায়িত্বে নতুনরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন জেলায় জেলায় সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন জায়গায় স্বচ্ছ এবং সাংগঠনিক মুখ সামনে এনে নেতৃত্ব প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। গত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ফলাফল খুব একটা ভাল হয়নি। যেখানে তৃণমূলকে পর্যুদস্ত করে অনেকটাই সাফল্য পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই এই পরিস্থিতিতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই সংগঠনকে শক্তিশালী করে ভালো ফল করার প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরে মেদিনীপুর শহরের ফেডারেশন হলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। যেখানে নতুন জেলা কমিটি, ব্লক কমিটি এবং শহর সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়। আর এই কমিটি গঠনের মধ্যে দিয়েই একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, তৃণমূল এখন বিভিন্ন জায়গায় সাংগঠনিক পরিবর্তন শুরু করে দিয়েছে।

বস্তুত, এই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় 21 টি ব্লক এবং সাতটি পৌরসভা এলাকা রয়েছে। তার মধ্যে দিলীপ ঘোষের খাসতালুক বলে পরিচিত খড়গপুর শহরের সভাপতির নাম এদিন ঘোষণা করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তবে 21 টি ব্লক এবং 6 পৌরসভার সভাপতি এবং সহ সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়।

জানা গেছে, এদিন বেশ কিছু ব্লক এবং পৌরসভায় সাংগঠনিক রদবদলের খবর পাওয়া যায়। বস্তুত, মোহনপুর ব্লগে প্রদীপ পাত্র সভাপতি থাকলেও, এদিন তাকে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে তার জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে মানিক মাইতিকে। এছাড়াও দাঁতন 1 ব্লকে বিক্রম প্রধানকে সরিয়ে প্রতুল দাস, চন্দ্রকোনা 2 ব্লকে ছায়া দলুইকে সরিয়ে জগজিৎ সরকারকে ব্লক সভাপতি করা হয়েছে। এছাড়াও গড়বেতা 3 ব্লকের সভাপতি নিমাই বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলার সহ-সভাপতি করে এখানকার সভাপতি করা হয়েছে রাজীব ঘোষকে। মেদিনীপুর সদর ব্লকে দিলীপ দে সভাপতি থাকলেও তাকে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের জায়গা দিয়ে তার জায়গায় আনা হয়েছে মুকুল সামন্তকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে ক্ষীরপাই শহর তৃনমূলের সভাপতি গৌতম ভট্টাচার্যকে জেলার সহ-সভাপতি করা হয়েছে। আর গৌতমবাবুর জায়গায় বীরেশ্বর পাহাড়িকে দেওয়া হয়েছে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব। একইভাবে চন্দ্রকোনা শহরের সভাপতি উত্তম পালকে জেলার সহ-সভাপতি করে প্রদীপ সাঁতরাকে ব্লক সভাপতি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এতদিন রামজীবনপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্মল চৌধুরী শহর তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। কিন্তু এবার সেখানে নতুন সভাপতি হিসেবে সুমিত পাজাকে দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আর তৃণমূলের এই সাংগঠনিক রদবদলের ফলে একটা বিষয় পরিষ্কার যে, দিলীপ ঘোষের শক্ত ঘাঁটি খড়্গপুরে এবং বিজেপি যেভাবে গত লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুরে মাথাচাড়া দিয়েছে, তাতে এই সাংগঠনিক রদবদল করে তৃণমূল নতুন নেতৃত্বদের নিয়ে এসে বিজেপি হাওয়াকে ফিকে করতে চাইছে‌। এদিন এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “পাঁচটি ব্লক এবং তিনটি পৌরসভা এলাকায় নতুন সভাপতি করা হয়েছে। খড়্গপুরে পরে শহর সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। সভাপতির পদ থেকে অপসারিতদের জেলা কমিটিতে নিয়ে আসা হয়েছে। বিধায়করা যেসব ক্ষেত্রে ব্লক সভাপতি ছিলেন, দলের নিয়ম অনুযায়ী তাদের ওই পদে থাকা যাবে না। তাই তাদের সরিয়ে সেখানে নতুন সভাপতি করা হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং জেলা পরিষদের সকল কর্মাধ্যক্ষকে জেলা কমিটির সদস্য করা হয়েছে।” তবে মেদিনীপুরে তৃণমূল নিজেদের ঘাঁটিকে শক্ত করতে নতুন এই কমিটি গঠন করলেও, তা কতটা বিজেপিকে কুপোকাত করতে পারে, তা আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ভোটবাক্স খোলার পরেই প্রমাণিত হয়ে যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!