এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দিলীপ ঘোষের গড়ে ভাঙন বিজেপির! উজ্জীবিত তৃণমূল! জেনে নিন!

দিলীপ ঘোষের গড়ে ভাঙন বিজেপির! উজ্জীবিত তৃণমূল! জেনে নিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে একাধিকবার তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য অনেক রাজনৈতিক দল থেকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। মূলত 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস 42 এ 42 টি আসন আশা করলেও, ফলটা আশানুরূপ হয়নি। বরং 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় আসন সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে।

এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে, ভারতীয় জনতা পার্টি সহ এবং তার নেতারা স্লোগান দিতে শুরু করেছিলেন, ১৯ এ হাফ, 21 এ সাফ। কিন্তু পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বময় নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতবর্ষে প্রখ্যাত নির্বাচনী রননীতিকার প্রশান্ত কিশোরকে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী বৈতরণী পার করার দায়িত্ব প্রদান করেন।

আর এরপরই কিছুটা হলেও খেলা ঘুরতে শুরু করে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত, পৌরসভা এমনকি ডাকাবুকো নেতারা, যারা তৃণমূল কংগ্রেসের সান্নিধ্য ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছিলেন, তারা পুনরায় ঘরের ছেলে হিসেবে ঘরে ফিরে আসতে শুরু করে। প্রথমদিকে শুধুমাত্র ছোটখাটো যোগদান হলেও যত দিন যাচ্ছে, ততই ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসার হিড়িক পড়ে যায়।

আর এইবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার সেই ঝড় আসছে। পরে পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম শক্তিশালী কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত খড়্গপুরে মূলত ভারতীয় জনতা পার্টির দুর্দিনের সময় এই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পরবর্তীতে তিনি মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ হয়ে যাওয়ার পরে ওই বিধানসভা আসনটি খালি হয়‌।

যেহেতু লোকসভা নির্বাচনে প্রায় 50 হাজারেরও বেশি ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে টেক্কা দিয়েছিল দিলীপবাবু, সেজন্য সকলেই আশা করেছিলেন এই আসনটি হয়ত বিধানসভা উপনির্বাচনে নিজেদের দখলে রাখতে সক্ষম হবে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু সব সমীকরণকে পাল্টে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্র দখল করে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এর পর থেকেই খেলা ঘুরতে শুরু করে। সম্প্রতি 2020 সালের একুশে জুলাই করোনা ভাইরাসের কারণে জনসভা না করতে পেরে ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে দলের কর্মী-সমর্থকদেরকে বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই ভার্চুয়াল সভা থেকেই যদি কেউ ভুল করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে চলে গিয়ে থাকে, তাদেরকে পুনরায় দলে ফিরে আসতে আহ্বান জানান তৃণমূল সুপ্রিমো।

তারপরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান কর্মসূচি নতুন মাত্রা পায়। একদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিপ্লব মিত্রের মত নেতা অনুগামী অনেক নেতাদেরকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন, আবার অন্যদিকে বিভিন্ন জেলায় এই একই ছবি ধরা পড়ে। এবার খড়্গপুরেও সেই ছবি নজর কাড়ল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

জানা গেছে, দিলীপ ঘোষের গড় হিসেবে পরিচিত খড়গপুর এলাকায় ভারতীয় জনতা পার্টিতে বড়োসড়ো ভাঙ্গন করাতে সক্ষম হল ঘাসফুল শিবির। এদিন খড়গপুর উত্তর মন্ডলের সভাপতি অজয় চট্টোপাধ্যায় সাংসদ প্রতিনিধি কমিটির সদস্য রাজীব গুহ, খড়গপুর বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব থাকা শৈলেন্দ্র সিংহ এবং এলাকার নামকরা বিজেপি নেতা সজল রায় প্রমূখ জোড়াফুলের পতাকা হাতে তুলে নেয়। তাদের দলে যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা দলের নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

এদিন এই বিষয়ে চন্দ্রিমাদেবী বলেন, “দিলীপ ঘোষের গড়ে বিজেপি ভেঙ্গে পড়েছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিলীপবাবু খড়্গপুরের বিজেপির কোনো অস্তিত্বই দেখতে পাবেন না।” রাজনৈতিক মহলের মতে, বিগত দিনে খড়গপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে যখন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীকে হারিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রদীপ সরকার বিধায়ক নির্বাচিত হন, তখনই বোঝা গিয়েছিল, এই এলাকায় ভারতীয় জনতা পার্টি নিজের রাজনৈতিক শক্তি অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছে। আর এইবার এই বড়সড় যোগদানের পরে ভারতীয় জনতা পার্টি কি করে নিজেদের শক্তি কেন্দ্র আটকে রাখবেন, সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!