এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিলীপের সভায় প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও আর্থিক সাহায্য পেলেন না নিহত কর্মীদের পরিবার! বাড়ছে ক্ষোভ

দিলীপের সভায় প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও আর্থিক সাহায্য পেলেন না নিহত কর্মীদের পরিবার! বাড়ছে ক্ষোভ

 

তৃণমূলের শহীদ দিবস নিয়ে মাঝে মধ্যেই কটাক্ষ করতে দেখা যায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে। একুশে জুলাই শহীদ দিবসের মঞ্চে শহীদদের স্মরণ করা অপেক্ষা নাচ গানের মধ্যে দিয়ে সেটাকে উৎসব করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু এবার শহীদদেরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারল না সেই গেরুয়া শিবিরও।

যা নিয়ে বিজেপির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তরফে যেমন কটাক্ষ করা হচ্ছে, ঠিক তেমনই গুঞ্জন উঠতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের মধ্যেও। জানা গেছে, শুক্রবার আরামবাগে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের একটি জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। যে জনসভা থেকে আরামবাগ ও গোঘাটে নিহত 2 বিজেপি কর্মীর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এদিনের অনুষ্ঠানে সেই নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারেরা উপস্থিত থাকলেও কোনরূপ আর্থিক সাহায্য তাদের করা হয়নি বলে অভিযোগ একাংশের। সূত্রের খবর, এদিন আরামবাগ ফুটবল মাঠে শহীদ স্মরণে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, ভারতী ঘোষ, সায়ন্তন বসু রিমঝিম মিত্র সহ অন্যান্যরা। কিন্তু এই সভা শহীদ পরিবারকে সম্মান জানাতে আয়োজিত করা হলেও সেখানে শহীদদের প্রতি কোনো সম্মান প্রদর্শন করা হয়নি বলে দাবি অনেকের।

পাশাপাশি শহীদ পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে নিহত আমির আলীর স্ত্রী টগড়ি বেওয়া বলেন, “দলের তরফে আমাদের বাড়িতে গিয়ে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। সেইমত এদিনের সভায় আমাদের হাজির থাকতে বলা হয়। কিন্তু সভা শেষে আমরা সেই সাহায্য পায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, চেক তৈরি হয়নি। আগামী দিনে বাড়িতে এসে তা দিয়ে যাবেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু শহীদ পরিবারের সদস্যদের এনে সেই শহীদদের সম্মান না দেওয়াটা কি বিজেপিকে ব্যাকফুটে ফেলে দিল না! এখন তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যদিওবা এই সমস্ত প্রশ্ন কিছুটা সরিয়ে রেখে এদিনের এই সভা থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

তিনি বলেন, “বর্তমানে রাজ্য সরকার বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িত। কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা সরাসরি উপভোক্তার একাউন্টে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই টাকা তুলে নিচ্ছে তৃণমূলের লোকজন। আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে 50 হাজারের বেশি মামলা করা হয়েছে। রাজ্যের পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু হারবে জেনে সরকার এই নির্বাচন করতে চাইছে না।”

অন্যদিকে এনআরসি নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নানা কথা বলা হলেও এদিনের সভা থেকে তার জবাব দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “মানুষকে এনআরসি নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যা মুখে বলেন, তা করে দেখান। কাশ্মীরে যেমন 370 ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে, তিন তালাক বিল পাস হয়েছে, তেমনই অযোধ্যায় রাম মন্দির হবে।” এদিকে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ফের এদিনের সভা থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ।

তিনি বলেন, “আগামী দিনে আমরা ক্ষমতায় এলে পুলিশদের বাড়ির ভাত খেতে দেব না। তৃণমূলের তাবেদারী করা পুলিশকর্মীদের পেনশনের টাকা কেটে নেওয়া হবে। পুলিশ যদি রাতে গ্রামে ঢোকে, পুলিশকে গাছে বেঁধে রাখুন। পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে রাখুন।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বরাবরই বঙ্গ রাজনীতিতে দীলিপবাবু বিতর্কিত চরিত্র হিসেবেই পরিচিত‌। পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যেই বেলাগাম মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন তিনি। এদিনও তার কোনো ব্যতিক্রম হল না। কিন্তু শহীদ স্মরণে বিজেপির পক্ষ থেকে যে সভার আয়োজন করা হল, সেই সভায় শহীদরা এবং তার পরিবারের সদস্যরা অপ্রাসঙ্গিক থাকল বলেই মত সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!